তৃপ্তির শতরান
বিরাট কোহলি গতকাল ৫৩ বলে শতরান হাঁকানোর পর অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ১২২ রানে। টি ২০ আন্তর্জাতিকে এটিই তাঁর প্রথম শতরান। ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ইনিংস। রোহিত শর্মাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিরাট বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী দলের দায়িত্ব পালনই আমার কাজ। যদি মনে হয় রান দ্রুতগতিতে তোলা দরকার, তাহলে সেটাই করতে হবে। বিরাটের মতে, ১০-১৫ বল খেলে সেট হয়ে গেলে রিল্যাক্স হয়ে দ্রুত রান তোলার কাজ করতে কোনও অসুবিধাই হয় না। নিজে যেভাবে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন, নিজের মনের মতো করে ব্যাট করতে পারছেন সেটাই তৃপ্তি দিচ্ছে কিং কোহলিকে। দুরন্ত ইনিংস দলের প্রয়োজনে লাগায় খুশি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
|
রোহিতের মুখোমুখি
রোহিত শর্মার পর বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টি ২০ আন্তর্জাতিকে সাড়ে তিন হাজার রান পেরিয়ে গেলেন বিরাট। তিনি বলেন, আমি প্রতিটি টুর্নামেন্টে এটাই মাথায় রেখে নামি যে, ছক্কা মারা আমার প্রধান শক্তি নয়। প্রয়োজনে সেই শট আমাকে মারতে হবেই, তবে বেশিরভাগ সময়েই আমার লক্ষ্য থাকে ফাঁকা জায়গা খুঁজে নিয়ে বাউন্ডারি মারা। যতক্ষণ আমি এটা পারব, সেটা দলের প্রয়োজনে লাগবে এবং আমার উদ্দেশ্যসাধন হবে বলেই বিশ্বাস করি। টি ২০ ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট বাড়াতে আমি ছক্কার উপর নির্ভরশীল না হয়ে ফাঁকা জায়গা খুঁজে সেখান দিয়েই যে বাউন্ডারি মারতে চাই, সে কথা কোচেদেরও জানিয়েছি। ভারতীয় ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
টি ২০ বিশ্বকাপ পাখির চোখ
বিরাট আরও বলেন, আমাকে এমন খেলতেই হতো কারণ আমাদের লক্ষ্য টি ২০ বিশ্বকাপ। আমি ভালো খেলতে পারলে দলের জন্য অবদান রাখতে পারবষ সেটাই পরিকল্পনা ছিল। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন প্রথমে ব্যাট করার সময় স্ট্রাইক রেট বাড়াতে কীভাবে নিজের খেলায় উন্নতি ঘটাতে হবে, কীভাবে মাঝের পর্যায়ে ব্যাট করাটা জরুরি। দলের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী আমার খেলায় কীভাবে উন্নতি ঘটাতে হবে তা ভালো করে বুঝে নিয়ে সেই অনুযায়ীই এশিয়া কাপে খেলার পরিকল্পনা নিয়ে নামি। তবে আফগানিস্তান ম্যাচেই যে শতরান পাবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না বিরাট। এই ফরম্যাটে প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান পেয়ে তিনি নিজেও বিস্মিতই হন বলে জানিয়েছেন কিং কোহলি।
|
কোহলির বার্তা
ইংল্যান্ড সফরের পর বিরতি তাঁর কেরিয়ারে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিরাট। তাঁর কথায়, যখন ছুটিতে ছিলাম তখন ব্যাটে হাত দিইনি। মাঠে ফেরার সময় সতীর্থ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে বুঝে নিয়েছি কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাকিটা ছিল রিল্যাক্স হয়ে ব্যাট করা, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সতীর্থরা যে জায়গা তাঁর জন্য ছেড়ে রেখেছিলেন সেইমতো চিন্তামুক্ত থেকেই কামব্যাক করেছেন এবং দলের জন্য যেভাবে অবদান রেখেছেন তাতে তৃপ্ত বিরাট। বিরাট আরও বলেন, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরই শেষ ম্যাচ কীভাবে খেলা হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা হয়। টুর্নামেন্ট জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তা হলেও নক আউট পর্ব ও চাপের পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছে। আমরা সকলেই জানি আমাদের মূল লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপ। আমরা নিজেদের খেলায় উন্নতি ঘটাচ্ছি। কয়েকটা ম্যাচ ভালো না গেলেও প্রতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। ভারত দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলেও বার্তা দিয়েছেন কিং কোহলি।