এরকম অনেক ঘটনা দেখা যায় যে কোনও এক ব্যক্তি মৃত কিন্তু ভোটার তালিকায় তাঁর নাম দিব্যি রয়েছে। তালিকা সংশোধন হয় এর জন্য। কিন্তু এই ঘটনা উল্টো। হরিয়ানার এই ব্যক্তি দিব্যি বেঁচেবর্তে আছেন। আর তিনি হয়ে গিয়েছেন সরকারি খাতায় মৃত। বয়স শুনলে অবশ্য চমকে যাবেন। ব্যক্তির বয়স ১০২।
জানা গিয়েছে হরিয়ানার ১০২ বছর ওই বয়সী ব্যক্তিকে সরকারি নথিতে মৃত হিসাবে দেখানো হয়েছে। বুধবার তার পেনশন বন্ধ করা দেওয়ায় তিনি রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এলেন একদম জনসমক্ষে।
রোহতক জেলার বাসিন্দা দুলি চাঁদ। তিনি যে বেঁচে আছেন তা প্রমাণ করতে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি হাজির হন। পরে তিনি তার দাবির সমর্থনে শহরে একটি মিছিল বের করেন এবং দ্রুত তার পেনশন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। তিনি বলেন, "আমি আমার শেষ পেনশন পেয়েছি মার্চ মাসে। এর পরে, আমার পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কারণ সরকারি নথিতে দেখানো হয়েছে যে আমি মারা গিয়েছি। তারপর থেকে, আমি প্রমাণ করার চেষ্টা করছি যে আমি এখনও বেঁচে আছি, কিন্তু বৃথা গিয়েছে আমার চেষ্টা।"
দুলি চাঁদ এও বলেন , বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য তার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পারিবারিক আইডি এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ তার সমস্ত পরিচয় পত্রের প্রমাণ নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হয়েছিলেন। তার নাতি বলেছেন যে তিনি এক মাসেরও বেশি আগে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যদিও এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আম আদমি পার্টির (এএপি) হরিয়ানা ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি নবীন জয়হিন্দ, যিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সময় দুলি চাঁদকে পাশে নিয়ে কথা বলেন। দুলি চাঁদ সেখানে দাবি করেন যে তার পেনশন অবিলম্বে পুনরুদ্ধার করা হোক। এদিকে এই প্রসঙ্গে নবীন জয়হিন্দ বলেন যে, "এটি দুর্ভাগ্যজনক যে এই ধরনের প্রবীণ মানুষদের পেনশন বন্ধ করে দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নিষ্পত্তি সেলের কাছে অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওনার পেনশন আবার চালু হওয়া উচিৎ এবং আমরা দাবি করছি যে উনি যে এতদিন পেনশন পাননি তা ফিরিয়ে দিক সরকার। দ্রুত এই কাজ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।"