অবশেষে লাদাখ নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ শুরু করেছে বেজিং। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরিকল্পনা মতই লাদেখের গোরা হটস্পিং এলাকা থেকে সেনা সরাচ্ছে দুই দেশ। এই পয়েন্টে সেনা মোতায়েন িনয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম বিবাদ তৈরি হয়েছিল। এই পয়েন্টে কোনও দেশের সেনাই মোতায়েন থাকার কথা নয়। কিন্তু বেজিং এক প্রকার জোর করেই সেখােন সেনা মোতায়েন করেছিল।
লাদাখে একাধিক বিতর্কিত জায়গায় চিনা ফৌজের অবস্থান সরাতে প্রায় ১৬ দফায় বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু সমস্যার সমাধান খুব একটা হয়নি। দফায় দফায় সেনা পর্যায়ের বৈঠক বারবার বিফলে গিয়েছে। তার মাঝেই বেশ কয়েরটি জায়গা থেকে সেনা সরােনার প্রক্রিয়া হয়েছে। গত ১৭ জুলাই চিনা অফিসারদের সঙ্গে সীমান্তে বৈঠকে বসেছিল বেজিং। সেই বৈঠকে পিপি-১৫ পয়েন্ট থেকে দুই দেশের সেনাই সরানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত মতই কাজ হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর এদিন ভোরবেলা থেকেই পিপি-১৫ পয়েন্টে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেজিং। সকালেই দুই দেশের সেনার স্থানীয় কমান্ডাররা একে অপরের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। করোনা মহামারীর শুরুর আগে থেকেই চিেনর সঙ্গে ভারতের প্রবল সংঘাত শুরু হয়। লাদাখে একাধিক গালাওয়ান ভ্যালিতে দুই দেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েছিল। তাতে ভারতের একাধিক জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তারপর থেকে লাদাখের সীমান্ত মানতে অস্বীকার করতে থাকে বেজিং। অরুনাচল প্রদেশে একাধিকবার ভারতীয় নাগরিকদের অপহরণ করা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁদের ফিরে পায় ভারত
এদিকে লাদাখ সংকট মোকাবিলায় অজিত ডোভালকে ময়দানে অবতীর্ন হতে হয়। তিনি একাধিকবার বেজিং সফর করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন। তারপরেই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ ধীরে ধীরে সমস্যা সমাধানের পথে এগোতে শুরু করে। ১৬ দফায় বৈঠকের ব্যর্থতার পর শেষে পিপি-১৫ পয়েন্ট থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয় বেজিং।
জলের ভিতর রহস্যের পাহাড়, ৩০ বছরের পুরনো সমস্যার সমাধান করলেন বিজ্ঞানীরা