|
শারজায় ধুন্ধুমার
পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিডস্টার শোয়েব আখতার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে খেলা শেষের পরই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। এমনকী গ্যালারির চেয়ার ভেঙেও একে অপরের দিকে তা ছুড়ে মেরেছেন তাঁরা। পাকিস্তান দলের জার্সি গায়েও এক দর্শককে চেয়ার ছুড়তে দেখা গিয়েছে। কারা এই সংঘর্ষের সূচনা করেছেন তা স্পষ্ট না হলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আফগানিস্তান এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতেই আফগান সমর্থকরাই প্রথম আক্রমণ করেন পাক ক্রিকেটপ্রেমীদের। আফগানিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভাঙচুরও চালাতে দেখা গিয়েছে দর্শকদের। প্রাক্তন ক্রিকেটার, বিশেষজ্ঞ থেকে ক্রিকেটপ্রেমী- সকলেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
|
উত্তেজক ম্যাচ
সুপার ফোরে গতকালের ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের কাছেই। বিশেষ করে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জিততেই হতো আফগানিস্তানকে। পাকিস্তান টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আফগানিস্তান ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলেছিল। জবাবে খেলতে নেমে পাকিস্তান নবম উইকেট হারিয়েছিল ১১৮ রানে। এরপর নাদিম শাহের জোড়া ছক্কা-সহ ৪ বলে অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংস পাকিস্তানকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়।
|
আসিফ তেড়ে গেলেন ফরিদকে
আসিফ আলি ৮ বলে ১৬ রান করে ফরিদ আহমেদ মালিকের বলে করিম জেনাতের হাতে ক্যাচ দেন। এটি পাকিস্তানের নবম উইকেট, ফরিদের তৃতীয় শিকার। এই উইকেটটি পড়ার পর আফগানিস্তান যখন জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছিল, তেমনই পাকিস্তান শিবিরে টেনশন ছড়িয়ে পড়ে। আসিফের উইকেটটি নেওয়ার পর ফরিদ যেভাবে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলেন তা ওই চাপের মুখে আসিফ ভালোভাবে নিতে পারেননি। সাজঘরে ফেরার সময় হঠাৎই তিনি ব্যাট উঁচিয়ে ফরিদকে মারার হুমকি দেন। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে থাকে। অবশেষে দুই দেশের ক্রিকেটার ও আম্পায়াররা মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে স্বাভাবিকভাবেই মাঠের এই উত্তাপ গ্যালারিতে ছড়িয়ে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
|
নির্বাসনের দাবি
তবে আসিফ আলির এই আচরণও নিন্দিত হচ্ছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সিইও শফিক স্ট্যানিকজাই আসিফ আলিকে চলতি এশিয়া কাপ থেকে নির্বাসিত করার দাবি জানিয়েছেন। আসিফের এই কীর্তি বোকামি বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। শফিকের কথায়, প্রত্যেক বোলারেরই উইকেট পাওয়ার পর আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে এমন ঘটনা যে বরদাস্ত করা উচিত নয় সেটাও স্পষ্ট করেন শফিক। এখন দেখার আদৌ আসিফ শাস্তির মুখে পড়েন কিনা।