অন্তর্বাস কিনতে দিল্লি যাত্রা!
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ভাই বসন্ত সোরেনের মন্তব্যে নতুন করে রাজ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বসন্ত সোরেন বলেন, 'আমার অন্তর্বাস ফুরিয়ে গিয়েছিল। আমি সেগুলো কিনতে দিল্লিতে গিয়েছিলাম। আমি এগুলো মূলত দিল্লি থেকেই কিনি।' পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছেন, 'এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকে।' তিনি দুই নাবালিকার হত্যা ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
বিজেপির তীব্র প্রতিক্রিয়া
গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিন্ত দুবে বসন্ত সোরেনের অন্তর্বাস সংক্রান্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, 'মৃত নাবালিকাদের পরিবারের প্রতি এটি একটা অসংবেদনশীল মনোভাব। শিবু সোরেন গরিব ও আদিবাসীদের নেতা। তাঁর ছেলেকে অন্তর্বাস কিনতে দুমকা থেকে দিল্লি যেতে হয়। এটা আদিবাসীদের জন্য আতঙ্কের কারণ। কারণ তাঁদের মেয়েদের মৃত্যুর থেকে বিধায়কদের অন্তর্বাস কিনতে দিল্লিতে যাওয়া বেশি প্রয়োজনীয়। সেই কারণে মৃত নাবালিকার পরিবারকে দেওয়ার মতো সময় ছিল না।'
বিতর্কের মুখে হেমন্ত সোরেন
বসন্ত সোরেনের আগে দুমকায় দুই নাবালিকাকে হত্যার ঘটনায় মন্তব্য করে বিতর্রকের মুখে পড়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। দুমকা জেলায় দুই নাবালিকাকে হত্যা করা হয়। একজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। অন্যজনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হেমন্ত সোরেন বলেন, একটি সাধারণ ঘটনা, ভারতের সব জায়গাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে।
কী হয়েছিল দুমকায়
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় ১৯ বছরের একটি মেয়েকে এক ব্যক্তি আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে দুমকার ফুলো ঝানো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এরপর তাঁকে রাঁচিতে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে রেফার করা হয়। শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। রাঁচিতে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শাহরুখকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ বছরের এক আদিবাসী কিশোরীকে বিয়ে করার নাম করে যৌন নির্যাতন করা হয়। পরে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।