বাড়ছে হোটেলের ভাড়া
জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্ট রোডের কাছে অনেক বহুতলে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বেঙ্গালুরুর একাধিক অঞ্চলে এই পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে হু হু করে হোটেলের ভাড়া বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিরাতের জন্য হোটেল বাড়া যেখানে ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ছিল। সেখানে সেই ভাড়া বেড়ে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ হয়ে গিয়েছে। হোয়াইটফিল্ড, আউটার রিং রোড, ওল্ড এয়ারপোর্ট রোড এবং কোরমঙ্গলার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এই সব এলাকায় বর্তমানে কোনও হোটেল ফাঁকা নেই বললেই চলে।
সাশ্রয়ী OYO হোটেলগুলো
বেঙ্গালুরুর ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত লীলা প্রাসাদ হোটেলের ভাড়া ১৮,১১৩ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। তাজ হোটেলের ডিল্যাক্স রুমের জন্য একজনকে ১৪,৭৫০ টাকা প্রতিদিনের জন্য খরচ করতে হবে। বেঙ্গালুরুতে OYO হোটেলগুলো কিছুটা সাশ্রয়ী। বন্যা পরিস্থিতির জেরে বিপদে পড়া সাধারণ মানুষের জন্য এই OYO হোটেলগুলো ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। দেখা গিয়েছে হোয়াইট ফিল্ডে OYO রুমগুলোর ভাড়া ১,৩০০ টাকা। করোমঙ্গলায় একটি সিঙ্গল বেডের OYO রুমের ভাড়া ১,০০০ টাকার একটু বেশি।
চাহিদা ডাবল বেডরুমের
বেঙ্গালুরুর বেশিরভাগ হোটেল আগামী দুই দিনের জন্য ভর্তি হয়ে গিয়েছে। মূলত সিঙ্গর বেডের রুম বা ডাবল বেডের রুম বেঙ্গালুরুর স্থানীয় বাসিন্দারা ভাড়া নিচ্ছেন। তবে কতদিন বেঙ্গালুরু জলমগ্ন অবস্থায় থাকবে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচদিন বেঙ্গালুরুতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে বেঙ্গালুরু সহ কর্ণাটকের একাধিক জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান করা হয়েছে। পাশাপাশি নিচু অঞ্চলে বাসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ
বেঙ্গালুরুর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা জলমগ্ন বাসভবনের বা রাস্তার ছবি শেয়ার করে কর্ণাটক সরকারের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এক নেটিজেন জলমগ্ন বেঙ্গালুরুর ছবি প্রকাশ করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বেঙ্গালুরুকে ভেনিসে পরিণত করেছেন।