কথা বলবেন সোনিয়ার সঙ্গে
আরজেডির সঙ্গে জোট তৈরির পরে মহাজোটে ফিরেছেন নীতীশ কুমার। ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। তারপরেই ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে নীতীশ কুমার কথা বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। বৈঠক করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ৭১ বছর বয়সী জেডিইউ নেতা বলেছেন, তৃতীয় ফ্রন্ট নয়, তারা প্রধান ফ্রন্ট হতে চান। বিদেশ থেকে ফেরার পরে তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোরকে কটাক্ষ
কথার মধ্যেই তিনি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করেছেন। বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের সঙ্গে কাজ করা তাঁর ব্যবসা। বিহারের জন্য তিনি যা করতে চেয়েছেন, তা কারও চিন্তার মধ্যেই পড়ে না। পাল্টা নীতীশ কুমারের প্রশ্ন, ২০০৫ সাল থেকে যা করা হয়েছে, তার এবিসি কি তিনি জানেন?
বিজেপির সঙ্গে থাকতে চান!
তিনি (প্রশান্ত কিশোর) যেসব মন্তব্য করছেন, তাতে মনে হতেই পারে তিনি বিজেপির সঙ্গে থাকতে চান। হতে পারে তিনি বিজেপিকে সাহায্য করতে চান। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রশান্ত কিশোরকে প্রচার বিশেষজ্ঞের বেশি কিছু মানতে অস্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত ২০২০-তে প্রশান্ত কিশোরকে জেডিইউ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে কয়েকমাস আগে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে বিহারের জন্যি মন দিতে চান। সাম্প্রতিক বছর গুলিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ভোটে জয়ের জন্য কৃতিত্ব পাওয়া প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের পাশাপাশি নীতীশ কুমার সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কংগ্রেস আরজেডির সমর্থনে ফের মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসার পরে নীতীশ কুমারের দেওয়া চাকরির প্রতিশ্রুতিকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
২০০৫ সাল থেকে তারা কাজ করছেন
২০০৫ সাল থেকে তাঁরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন নীতীশ কুমার। তবে কিছু লোকের অভ্যাস বকবক করা। তা ছাড়া তাঁদের কিছুই করার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন নীতীশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, নীতীশ কুমারের জোট বদলানোর ঘটনা আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও, জাতীয় রাজনীতিতে ফেলবে না।