গ্রেফতার সাংসদের ব্যক্তিগত সচিব
যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম হেমন্ত পাওয়ার বলে জানা গিয়েছে। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের এক সাংসদের ব্যক্তিগত সচিব বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসির ১৭০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। যেখানে মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের তালিকায় নাম নেই
পুলিশ জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের তালিকায় ওই ব্যক্তির নাম নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি মুম্বই পুলিশকে বিষয়টি জানান। তারপরেই হেমন্ত পাওয়ার নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিচয়পত্র পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও মুম্বইয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেখা যায় হেমন্ত পাওয়ার নামে ওই ব্যক্তি অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদদের মধ্যে মিশে যাচ্ছেন। পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি নিজেকে অন্ধ্রপ্রদেশের সাংসদের পিএ বলে দাবি করেন।
অমিত শাহের আশপাশে ঘোরাঘুরি
ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চারপাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আই কার্ড পরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিজেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানকারী অফিসার হিসেবে দাবি করেছিলেন। প্রসঙ্গত ওই ব্যক্তি দুটি অনুষ্ঠানে ছিলেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এছাড়াও ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়ির বাইরেও দেখা গিয়েছে।
৩০ জুলাই একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে অমিত শাহ প্রথমবার মুম্বই সফর করলেন।
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ভঙ্গ
এই বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পঞ্জাব সফরের সময় তাঁৎ নিরাপত্তা ভঙ্গ হয়। ফিরোজপুরে অবরোধের কারণে একটি ফ্লাইওভারের ওপরে প্রধানমন্ত্রী কনভয় আটকে পড়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো। এরপর প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে যোগ না দিয়েই পঞ্জাব থেকে ফিরে আসেন। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়।