মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরেও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির গাঁঠবন্ধন আটকে ছিল। দীর্ঘ দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাবেক কর্তাদের একাধিক অজুহাত এবং বায়নাক্যার কারণেই চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই আটকে ছিল। তবে, সেই সমস্যা মিটি যায় অগস্টের শুরুর দিকেই। সরকারী ভাবে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করার পর অল্প দিনের মধ্যে দল গঠন এবং কোচ নিয়োগ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
ডুরান্ড কাপে অংশ নেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছে তারা। অল্প সময়ের মধ্যে যে ভাবে দলটিকে ভারতীয় দলের প্রাক্তন প্রধান প্রশিক্ষক স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন সাজিয়ে নিয়েছেন তার জন্য যথেষ্টা প্রশংসা প্রাপ্য তাঁর। সামনেই রয়েছে কলকাতা লিগ এবং তারপর আইএসএল, এবং আইএফএ শিল্ড।
ফুটবলের ভরা মরসুম শুরু আগে নতুন ইনভেস্টার ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বোর্ড মিটিং হয়ে গেল ইমামির প্রধান দফতরে। ইমামির পক্ষ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাত জন বোর্ড ডিরেক্টর- আদিত্য ভি আগরওয়াল, মনীশ গোয়েঙ্কা, সন্দীপ আগরওয়াল, গৌতম জাটিয়া, এস.এন.পাল, সৌরভ দাশগুপ্ত এবং মনোজ আগরওয়াল। ডিরেক্টর বোর্ডে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ৩ জন সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবব্রত সরকার, রূপক সাহা এবং সদানন্দ মুখোপাধ্যায়। স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে ছিলেন এ দিন উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সভাপতি এবং প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রণব দাশগুপ্ত।
প্রথম বোর্ড মিটিং-এ আলোচনা করা হয়েছে মহিলা ফুটবল দল গড়া নিয়ে। পাশাপাশি এই বৈঠকে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বোর্ড অব ডিরেক্টরস আলোচনা করেছে যাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে ক্লাবের পক্ষ থেকে এবং ইনভেস্টার ইমামির পক্ষ থেকে দলের সঙ্গে যাবেন ক্লাব এবং ইনভেস্টর ইমামির প্রতিনিধিরা। বাইরে গিয়ে দলের পাশে থাকা তো বটেই, কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করা, তাঁকে উদ্বুদ্ধ করার কাজও করবে এই প্রতিনিধিরা।