|
দেশ সব থেকে খারাপ আর্থিক সংকটের মুখে
রাহুল গান্ধী এদিন অভিযোগ করেছেন দেশ আজ সব থেকে খারাপ আর্থিক সংকটের মুখে। তাঁর আরও অভিযোগ বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী পুরো দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, আগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পুরো ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আর এই মুহূর্তে ৩-৪ টি কোম্পানি পুরো দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাঁর অভিযোগ বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করছে। কৃষক, শ্রমিক, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী সবাইকেই আক্রমণ করেছে বিজেপি সরকার।
বিজেপিতে কেউ ভীত নয়
রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেছেন, তারা মনে করছে ইডি, সিবিআই এবং আয়কর দফতরকে ব্যবহার করে তারা বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু তাদের (বিজেপি) সমস্যা হল তারা ভারতীয় জনগণকে বোঝে না। দেশের জনগণ তাদেরকে ভয় পায় না। একজনও বিরোধী নেতা বিজেপিকে ভয় পায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভারতীয় তেরঙ্গা আক্রমণের মুখে
রাহুল গান্ধীর অভিযোহ দেশের তেরঙ্গা পতাকাই আজ আক্রমণের মুখে। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ মনে করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা ভারতকে এক রাখতে পারে। কংগ্রেস সাংসদ বলেন. তেরঙ্গা পতাকা সহজে আসেনি। দেশের প্রতিটি ধর্ম ও ভাষার মানুষ এই তেরঙ্গা পতাকা অর্জন করেছিল। তিনি বলেছেন, এই তেরঙ্গাই যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকার দেয়।
১৫০ দিনে ৩৭৫০ কিমি পথ অতিক্রম
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রাকে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা অংশ টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করছেন। কেননা ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে এটি কংগ্রেসের একটা বড় পদক্ষেপ।
এদিন কন্যাকুমারিকা থেকে শুরু হওয়া কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা তিরুবন্তপুরম, কোচি, নীলাম্বুর, বেল্লারি, রাইচুর, ভিকারাবাদ, নান্দেদ, জলগাঁও, ইন্জোর, কোটা, দৌসা, আলওয়ার, বুলন্দশহর, দিল্লি হয়ে উত্তরের দিকে গিলে আম্বালা, জম্মু, পাঠানকোট হয়ে শ্রীনগরে গিয়ে শেষ হবে।
কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রায় স্থায়ী ভাবে ভিন্ন রাজ্যের ১১৮ জন সদস্য থাকবেন। ১২ টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে এই যাত্রা দেশের ৩৭৫০ কিমি পথ অতিক্রম করবে। পুরো এই পথ যেতে সময় লাহবে ১৫০ দিন।