করোনা রোধে ইন্ট্রা-নাজাল ভ্যাকসিন! ভারত বায়োটেককে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন

করোনার প্রকোপ ক্রমেই কমছে। তবুও নিরাপদ থাকতে ভারতের চেষ্টার কসুর নেই। এরই মধ্যে ভারত বায়োটেক ইন্ট্রা-নাজাল করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়ে গেল। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মান্দাভিয়া টুইট করে জানিয়েছেন, ভারত বায়োটেকের তৈরি করা এই হোমগ্রোন নাজাল ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মালব্য টুইটে লিখেছেন, কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারত প্রথম থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই লড়াইয়ে ভারত বায়োটেকের অবদান উল্লেখযোগ্য। আগেও তাঁরা করোনা ভ্যাকসিন এনে মানুষকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। এবার তাঁরা নিয়ে এল নাজাল ভ্যাকসিন। তাঁদের এই উদ্যোগ অনুমোদন পেয়েছেন।

ভারত বায়োটেকের তৈরি করা এই ভ্যাকসিনটি চিম্প্যাঞ্জি অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টোরেড অ্যাড সিডিএসকো ভারত দ্বারা অনুমোদিত রিকম্বিনেন্ট নাজাল ভ্যাকসিন ১৮ বছরের উর্ধ্বে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিক টিকা হিসেবে জরুরি পরিস্থিতিতে তা ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া।

তিনি বলেন, এই পদক্ষেপটি মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিনিত লড়াইকে আরও জোরদার করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে ভারত তার বিজ্ঞান ও মনাব সম্পদকে কাজে লাগিয়েছে যথার্থভাবেই। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও সবকা প্রয়াস সবকা বিকাশের মাধ্যমে আমরা করোনাকে পরাজিত করার লড়াই লড়ছি।

ইতিমধ্যে চিনে করোনা সংক্রমণ রোধে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার ভারতেও নাজাল ভ্যাকসিনের পথ চলা শুরু হয়ে গেল। করোনা মোকাবিলায় এই ধরনের ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হতে চলেছে এবার। চিনের ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে ক্যানসিনো বায়োলজিক্স ইনক ইনহেলড। চিনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভ্যাকসিনটিকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আর ভারত তার ইন্ট্রা-নাজাল ভ্যাকসিনটি প্রাথমিক ডোজ হিসেবে ব্যবহার করবে জরুরি ভিত্তিতে।

ইঞ্জেকশন ছাড়াই করোনা টিকা দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা চলছিল বহুদিন ধরেই। ভারত বায়োটেক সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিন বিবিভি ১৫৪-র তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছিল। তারপরই ভারত বায়োটেক ছিল অনুমোদনের অপেক্ষায়। ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রানাজাল ভ্যাকসিন সেই অনুমোদন পেয়ে গেল। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সেই অনুমোদন বার্তা স্বয়ং কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দিয়েছেন। এই ভ্যাকসিনটি হল করোনার জন্য তৈরি করা একটি অভিনব অ্যাডনোভাইরাস ভেক্টরযুক্ত ভ্যাকসিন। এটি শরীরে অ্যান্টিজেন সরবরাহকারী ভেক্টর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শরীরের বাইরে থেকে আসা কোনও ভাইরাসকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারে।

More VACCINE News  

Read more about:
English summary
Bharat Biotech gets authentication of use intranasal vaccine to avoid Coronavirus.