বঙ্গ বিজেপির তিন নেতা তিন ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছেন
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলার তিন শীর্ষ নেতাকে নিয়ে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি নাম না করেই বলেছেন, বঙ্গ বিজেপির তিন নেতা তিন ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছেন। এই তিন নেতা বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নতুন দলে পরিণত হয়েছে
বঙ্গ বিজেপির তিন নেতা বলতে যে তিনি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট। মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ বাঙালি এই সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত স্বীকার করে নেন, তিন নেতা তিন ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছেন। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নতুন দলে পরিণত হয়েছে।
বিজেপির নেতারা বাংলায় যে যাঁর নিজের মতো
তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা বাংলায় যে যাঁর নিজের মতো করে চলছেন। সবাইকে একজোট করাই এখন সমস্যা। সবাইকে এক না করলে লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে বিজেপি। লক্ষ্যপূরণ করতে গেলে একটাই উপায়, তিন নেতাকে এক করা। তা না হলে বিজেপির রক্ষা নেই। বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে জয়ের সরণিতে ফিরে আসা কার্যত অসম্ভব।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বাংলার দায়িত্বে আনা বড় ভুল
বিজেপির বর্ষীয়ান সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এই মর্মে জানিয়েছেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক করে নিয়ে আসা বিজেপির একটা বড় ভুল। একেবারেই খোলাখুলি তিনি স্বীকার করে নেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বাংলার দায়িত্বে আনা বড় ভুল হয়েছিল আমাদের। কমপ্লিট ভুল। রং নাম্বার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিজেপি অর্গানাইজেশনাল ফেলিওর হয়ে যায় বাংলায়
কৈলাশকে আনা কেন ভুল, সে ব্যাখ্যাও দেন স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা উত্তরপ্রদেশে হয়তো ভালো সংগঠন করেছেন, নির্বাচনে ভালো ফল করেছেন, তার মানে এই নয় যে তিনি পশ্চিমবঙ্গেও ভালো করবেন। যিনি পশ্চিমবঙ্গের মাটি বোঝেন না, গ্রামগঞ্জের মানুষকে বোঝেন না। একদিকে মমতা বলছেন, পাল্টা কৈলাশ। তাতেই তো বহিরাগত বার্তা চলে যায়। বিজেপি অর্গানাইজেশনাল ফেলিওর হয়ে যায়।
মমতার বিপরীতে বিজেপির মুখ কে হতে পারেন
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বিজেপির মুখ কে হতে পারেন। তা স্পষ্ট না করলেও তিনি ইঙ্গিত করেছেন, যিনি সবথেকে জনতার মধ্যে প্রিয়, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাঁকেই মমতা-বিরোধী মুখ করা উচিত। তিনি এদিন দিলীপ ঘোষকে বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি বলেন রাজনীতির ভাষার উপর দখল এবং লাগাম রাখা একান্ত কর্তব্য একজন আদর্শ রাজনীতিবিদের।