ধর্মীয় অনুশীলন কি স্কুলে নিয়ে যাওয়া যায়
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, এটি (হিজাব) একটি ধর্মীয় অনুশীলন নাও হতে পারে। তাঁরা বলেছেন, এর ধর্মীয় দিক থাকলেও তা উদাহরণের মধ্যে আসতে পারে না। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিচারপতিদের মতে, ধর্মীয় অনুশীলনের অধিকার থাকলেও সেই অনুশীলন কি স্কুলে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, যখন সেখানে একটি নির্দিষ্ট পোশাক রয়েছে। আদালতের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে, মাথায় স্কার্ফ কিংবা হিজাব পরা অধিকার অধিকার ধরে নেওয়া হলেও, সেখানে আগে থেকেই নির্দিষ্ট পোশাক রয়েছে, সেখানে কি হিজাব পরা যেতে পারে?
ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র
সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, হিজার পরা একটি অপরিহার্য অনুশীলন হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তবে যে মামলার শুনানি হচ্ছে, সেখানকার প্রধান বিষয় হল সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট অনুশীলনের অধিকার সম্পর্ক। এব্যাপারে বিচারপতিরা বলেছেন, দেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুশীলনের অনুমতি নেই।
শুনানিতে এও উঠে এসেছে, কর্নাটক সরকারের ক্ষমতার মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পোশাক নির্ধারণের বিষয়টি রয়েছে। তারা হিজাব নিষিদ্ধ করতে কোনও আইন পাশ করায়নি।
কর্নাটক সরকারের মত
কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেওয়ার তাদের বিজ্ঞপ্তি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে উদুপির পিইউ কলেজ-সহ বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ হয়। বলা হয় সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেছেন, ফেব্রুয়ারির আদেশেই স্পষ্ট করা হয়েছিস, রাজ্য সরকার কিছুই ঠিক করবে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের শিক্ষার্থীদের পোশাক নির্ধারণ করতে হবে। সেখানে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বলেনি, হিজাব পরা বা না পরার কথা। সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপরে ছাড়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদেশকেও কোনও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি।
উঠে এল মিনি, মিডি প্রসঙ্গ
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়, রাজ্য সরকার কি হিজাব নিষিদ্ধ করতে চায়? এব্যাপারে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, বিষয়টি কলেজ উন্নয়ন কমিটির ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
কর্নাটক সরকারের তরফে রাজ্যের অ্যাডভে্াকেট জেনারেল ছাড়াও ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ। অন্যদিকে আবেদনকারীদের তরফে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী রাজীব ধওয়ান, ইউসুফ মুছালা, দুশ্যন্ত দাভে, সঞ্জয় হেগড়ে এবং দেবদত্ত কামাত।
আবেদনকারীদের তরফে সঞ্জয় হেগড়ে বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পোশাকের ব্যাপারে কোনও নিয়ম চজারি করতে পারে না। এব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালত বলেন যে একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রী মিনি, মিডি, যা খুশি পরে স্কুলে আসতে পারে কি?