চাপে বাবর
আইসিসি টি ২০ র্যাঙ্কিং ব্যাটারদের তালিকায় ১০০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে শীর্ষস্থানে রয়েছেন বাবর আজম, তাঁর রেটিং ৮১০। সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁর রেটিং ৭৯৬। তিন নম্বরে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। সূর্যর রেটিং ৭৯২। চার নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামের রেটিংও ৭৯২। ডেভিড মালান রয়েছেন ৭৩১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে। এই পরিস্থিতিতে বাবরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন রিজওয়ান ও সূর্যকুমার। বাবরের চাপ বাড়িয়েছে অফ ফর্ম।
নতুন তালিকায় অবস্থানগত রদবদল?
আগামীকাল আইসিসি টি ২০ র্যাঙ্কিংয়ে প্লেয়ারদের নতুন তালিকা প্রকাশ হবে। তাতে বাবর আজম সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য হন কিনা সেটা নিয়েই আগ্রহ তুঙ্গে। এবারের এশিয়া কাপে তিনটি ম্যাচে বাবরের রান যথাক্রমে ১০, ৯ ও ১৪। মহম্মদ রিজওয়ান ভারতের বিরুদ্ধে রবিবার ম্যাচে পায়ে চোট পেয়েছেন। তিনি আর এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে এমআরআই স্ক্যানের রিপোর্টের উপর। রিজওয়ান এখনও অবধি এশিয়া কাপে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। রিজওয়ান ২টি অর্ধশতরান-সহ ১৯২ রান করেছেন।
সূর্যর তেজ
সূর্যকুমার যাদব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে যথাক্রমে ১৩ ও ১৮ রান করেছেন। তবে হংকংয়ের বিরুদ্ধে তিনি ২৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। রিজওয়ান ও সূর্য যখন অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন, তখন বাবর আজমের ব্যাট হাতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স আইসিসি টি ২০ র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের তালিকার উপরের দিকে অবস্থানগত রদবদল ঘটাতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূর্যকুমার যাদব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে যথাক্রমে ২৪, ১১, ৭৬ ও ২৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ওই সিরিজের পরই আইসিসি টি ২০ র্যাঙ্কিংয়ে তিনি বাবরকে সরিয়ে এক নম্বর স্থান দখলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিলেন। যদিও শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় সূর্যকুমার যাদবকে।
ভরসাযোগ্য ব্যাটার
গত বছর আমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সূর্যকুমার যাদবের অভিষেক হয়। ইতিমধ্যেই সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেছেন। ভারতের ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটার হিসেবে চিহ্নিত সূর্যকুমার যে ফর্মে রয়েছেন তাতে তাঁকে অনেকে তিনে খেলানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন। ২৬টি টি ২০ আন্তর্জাতিকে সূর্যকুমার যাদব ৭৭১ রান করেছেন, যার মধ্যে একটি শতরান ও ৬টি অর্ধশতরান রয়েছে। গত ১০ জুলাই নটিংহ্যামে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ১১৭ রান করেছিলেন।