১৯৭২ চলে গিয়েছে, ৭২-কে যেতে হবে
৭২-এর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তারুণ্যের বন্দনা করতে ছাড়লেন না কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, আমরা সর্বদা নতুনের আহ্বান জানিয়ে এসেছিলেন। তারুণ্যের জয়গান গেয়েছি। আর ১৯৭২ চলে গিয়েছে, তাহলে ৭২-কে যেতে হবে না! ৭২-কেও চলে যেতে হবে। তাপস রায়কে কৌশলে সমর্থনই জানালেন তিনি।
তাপস রায়ের বার্তাকে সমর্থন মদনের
সম্প্রতি বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেছিলেন, আমাকে ধরে রাখা কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব যে, আর রাজনীতি করতে চাই না। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়। জল্পনা শুরু হয়, তবে কি মেঘ জমতে শুরু করেছে তাপস রায়ের মনেও। প্রত্যুত্তরে তাপস রায় বলেছিলেন, আমি যা বিশ্বাস করি, সে কথাই বলেছি।
তাপস রায়ের সাফাইয়ে বিশ্বাসের কথা
তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। এটা আমার মনে হয় এবং আমি তা পালন করব। তিনি বলেন, শরীর যদি সায় না দেয়, মস্তিষ্ক যদি সচল না থাকে, তাহলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব কীভাবে? সংগঠনের যে দুরুহ কাজ করতে হয়, সর্বক্ষণ সময় দিতে হয়, তা-ই বা দেব কীভাবে?
নতুন ও তারুণ্যের জয়গান মদন মিত্রের
মঙ্গলবার কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ৭২ নিয়ে কৌশলী মন্তব্যে তাপস রায়কে সমর্থন করলেন। সম্প্রতি একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ তৃণমূল। এই অবস্থা নতুন করে তৃণমূলকে ঢেলে সাজানোর কথা বলছেন নেতারা। সম্প্রতি নতুন তৃণমূলের ব্যানার পড়েছে। কালীঘাট থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় তার বিস্তার। এই অবস্থায় মদন মিত্র নতুন ও তারুণ্যের জয়গান গাইলেন তাপস রায়ের সুরে সুর মিলিয়ে।
পুজোর থিম নিয়ে মদন-বাণ
পার্থ ও অনুব্রত গ্রেফতারের পর সম্প্রতি পুজোর থিম নিয়ে মন্তব্য করে মদন মিত্র আশঙ্কার বার্তা দিয়েছিলেন। বিরোধীরা কীভাবে তাঁদের বিপাকে ফেলতে পারে, তা আগাম সতর্ক করে দিয়েছিলেন জলকে। তিনি বলেন, আমি গতবার মা দুর্গার মূর্তি বানিয়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে। এবার হয়তো এমন মূর্তি কেউ করবে, যেখানে দেখানো হবে পার্থ আর কেষ্টকে রক্ষা করছেন মমতা।