সবথেকে বেশি অনুদান পেয়েছে বাংলা
রাজস্ব ঘাটতি বাবদ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সবথেকে বেশি অনুদান পেয়েছে বাংলা। তারপরই রয়েছে কেরলের অবস্থান। ষষ্ঠ কিস্তির অর্থের হিসেবে অনুযায়ী যে বকেয়া প্রদান করা হয়েছে তা হয়েছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে। মোট ১৪টি রাজ্য এই অনুদানের টাকা পেয়েছে।
১৪টি রাজ্যকে অনুদান কেন্দ্রের
১৪টি রাজ্যকে মোট দেওয়া হয়েছে ৭১৮৩ কোটি টাকা। আর তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে সবথেকে বেশি ১১৩২.২৫ কোটি টাকা। তারপরে রয়েছে কেরল। বামশাসিত কেরল রাজ্য অনুদান পেয়েছে ১০৯৭.৮৩ কোটি টাকা। সংবিধানের ২৭৫ ধারা অনুযায়ী যে রাজ্যের যেমন ঘাটতি, সেই হিসেবে অনুদান দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক। এদিন অর্থমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অনুদান ঘোষণা করেছে।
চলতি আর্থিক বছরের অনুদান বরাদ্দ
মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে অর্থমন্ত্রক চলতি আর্থিক বছরের অনুদান হিসেবে ৪৩,১০০.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে রাজ্যগুলি মোট ৮৬২০১ কোটি টাকা অনুমোদন পাবে। এই বরাদ্দও পঞ্চদশ অর্থ কমিশন মোতাবেক করা হয়েছে।
কোন কোন রাজ্য পেল অনুদান
এদিন রাজস্ব ঘাটতি বাবদ অনুদান পেয়েছে মোট ১৪টি রাজ্য। অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে এই তালিকায়। চলতি আর্থিকবর্ষে সবথেকে বেশি অনুদান পাওয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে মোট ৬৭৯৩.৫০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য, এমনটাই দাবি কেন্দ্রের। তারপর রয়েছে কেরল।
|
কোন রাজ্যের জন কত অনুদান বরাদ্দ
ষষ্ঠ কিস্তিতে রাজস্ববাবদ অন্ধ্রপ্রদেশ পেয়েছে ৮৭৯.০৮ কোটি টাকা, অসম পেয়েছে ৪০৭.৫০ কোটি, হিমাচল প্রদেশ ৭৮১.৪২ কোটি, কেরল ১০৯৭.৮৩ কোটি, মণিপুর ১৯২.৫০ কোটি, মেঘালয় ৮৬.০৮ কোটি, মিজোরাম ১৩৪.৫৮ কোটি, নাগাল্যান্ড ৩৭৭.৫০ কোটি, পঞ্জাব ৬৮৯.৫০ কোটি, রাজস্থান ৪০৫.১৭ কোটি, সিকিম ৩৬.৬৭ কোটি, ত্রিপুরা ৩৬৮.৫৮ কোটি, উত্তরাখণ্ড ৫৯৪.৭৫ কোটি ও পশ্চিমবঙ্গ ১১৩২.২৫ কোটি। এই তালিকায় বাংলায় সবার উপরে, আর সবার নীচে রয়েছে পাহাড়ি রাজ্য সিকিম।