ব্রিটিশদের দাসত্ব মোছার ডাক দিয়েছিলেন মোদী
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশদের দাসত্ব মোছার ডাক দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত রাস্তার নাম ছিল রাজপথ। ১৯১১ সালে কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী সরানোর পরে তৎকালীন ভাইসরয় হাউস (বর্তমানে রাষ্ট্রপতি ভবন) থেকে ওয়ার মেমোরিয়াল ( বর্তমানের ইন্ডিয়া গেট) পর্যন্ত রাস্তার নাম রাখা হয়েছিল কিংসওয়ে। স্বাধীনতার পরে সেটারই ইংরেজি থেকে হিন্দি অনুবাদ করে রাজপথ নাম রাখা হয়। অনেকের মতে রাজপথ নামের মধ্যে ব্রিটিশদের গোলামির ছোঁয়া রয়েছে। সেই নাম পরিবর্তন করে ব্রিটিশদের ছোঁয়া মুছে ফেলা যাবে।
৮ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল ভিস্তার উদ্বোধন
কোভিডের মধ্যে রাজপথের দুইধারে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর তারই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হবে ঢেলে সাজানো সেন্ট্রাল ভিস্তার উদ্বোধন। তার আগে ৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি পুরনিগমের বৈঠকে রাজপথের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
|
মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষ
এদিন সকালে টুইট করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন রাজপথের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ রাখা হচ্ছে। তারপরেই তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, তিনি আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবনের নাম হবে কিংকর্তব্যবিমুধ মঠ। এব্যাপারে তিনি সুকুমার রায়ের হযবরল থেকে উধৃতি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান বাসভবন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে সাউথ ব্লকের পিছনে স্থানান্তরিত হবে।
সংস্কৃতি পরিবর্তন করাই বিজেপির একমাত্র দায়িত্ব
এদিন শুধু এই বিষয়েই নয়, এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে মহুয়া মৈত্র প্রধানমন্ত্রীর মোদীর পাশাপাশি বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তিনি এর আগে টুইটে বলেছিলেন, আমাদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করাই কি বিজেপির একমাত্র দায়িত্ব? তাদের উন্মাদনায় কি আমাদের ঐতিহ্যের ইতিহাস তি নতুন করে লেখা হবে? বিরোধী শিবির থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী কি সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে লঘু করে সাংবিধানের নাগরিক কর্তব্যকে শিরোধার্য করতে চাইছেন? নাকি তিনি দিল্লির সব থেকে পরিচিত রাস্তার নাম নিজের পছন্দমতো করে নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাইছেন?