সুব্রত মালাকারের সাতসকালে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে তদন্তকারীদের। এমনকি একাধিক নাম পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর সেই সুত্র ধরেই আজ সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গাতে হানা দেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, সোদপুরের ঘোলা এলাকার সুব্রত মালাকারের সাতসকালে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই সময় পেশায় চার্টাড অ্যাকাউটেন্ট সুব্রত বাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রীকে দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সুব্রত বাড়িতে ফেলেন এবং জিজঙ্গাসাবাদে শুরু হয়।
সুব্রতের নামে একাধিক ফ্ল্যাটের হদিশ
প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে সুব্রতকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। সূত্রে খবর, সুব্রতের নামকে বিশাল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আর তা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের নথি সহ একাধিইক বিষয় ভালো ভাবে খতিয়ে দেখা হয়। আর তাতে বেশ কিছু সন্দেহভাজন তথ্য পান আধিকারিকরা। সেই মতো সুব্রতকে জেরা করলে বারবার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বলেই ইডি সূত্রে খবর। আর এরপরেই আটক করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। সুব্রতের নামে একাধিক ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী। এই মুহূর্তে সেখানে তল্লাশি চলছে বলেই খবর।
ব্যাপক টাকা লেনদেন হয়েছে।
এমনকি সুব্রত মালাকারের বেলঘরিয়াতে একটি অফিসও রয়েছে। সেখানেও ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলেই খবর। অফিসে থাকা সমস্ত নথি এবং কম্পিউয়টার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ব্যাপক টাকা লেনদেন হয়েছে। সেই উৎস খুঁজতেই এই তল্লাশি চলছে বলে খবর।
একাধিক মিডলম্যানের খোঁজ
নিয়োগ তদন্তের কেলেঙ্কারিতে নেমে ইতিমধ্যে একাধিক মিডলম্যানের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।; মূলত অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা এরাই তৈরি করে প্রভাবশালীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। আর সেই সুত্র ধরেই ইতিমধ্যে প্রষণ্ণ রায় এবং প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের জেরা করে আরও তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা। এমনকি সুব্রত মালাকার নামে এক ব্যক্তির খোঁজও পাওয়া যায় বলে খবর।