২০২১ সালে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান চমক দেওয়ার মত। সরকারি হিসেব বলছে শুধুমাত্র ২০২১ সালে ১.৬৪ লক্ষের বেশি মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন দেশে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২০ এবং ২০২১ সালে সর্বাধিক করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিল দেশে। ২০২১ সালেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ এবং থার্ড ওয়েভের ধাক্কা সামলেছে দেশ। পরিসংখ্যান এখন রীতিমত চমকে ওঠার মত।
২০২০ সাল থেকে বদলে গিয়েছিলে গোটা বিশ্ব। করোনা মহমারির কোপে মানুষ ঘরবন্দি হয়েছিলেন। তখন থেকে গোটা বিশ্বে থাবা বসাতে শুরু করেছিল একাকীত্ব। মানুষ যে কতটা একা তা সেসময় প্রকট হতে শুরু করেছিল। এই সময়ই সব বয়সের মধ্যে থাবা বসাতে শুরু করেছিল মানসিক অবসাদ। যেসময়ের আত্মহত্যার পরিসংখ্যানের কথা উল্লেক করা হয়েছে সময় করোনার সেকেন্ড এবং থার্ড ওয়েভের মধ্য দিয়ে গিয়েছে দেশ। যার জেরে দফায় দফায় লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন,কনটেইনমেন্ট জোন এই সবের দাপট সামলেছেন সকলে।
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে ২০২১ সালে ১.৬৪ লক্ষের বেশি মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। দৈনিক হিসেব করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৪৫০। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪৫০ জন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। তার থেকেও ছোট করে হিসেব করলে প্রতি ঘণ্টায় ১৮ জন করে আত্মহত্যা করেেছন। অবসাদই যে তার একমামত্র কারণ তা নয়। এর নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। সংখ্যার হিসেবে আরও ভাগ করলে ১.৬৪ লক্ষ আত্মহত্যার মধ্য পুরুষের সংখ্যা ১.১৯ লক্ষ। আর মহিলার সংখ্যা ৪৫.০২৬। আর ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ২৮।
২০২০ সাল থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তে শুরু করছিল দেশে। তার একমাত্র কারণ করোনা মহামারী বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ সালে ১.৫৩ লক্ষ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে দেশে। এমনই তথ্য দিয়েছে এনসিআরবি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই দুই বছরে বলিউডে অনেক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ২০১৯ সালে ১.৩৯ জন আত্মঘাতী হয়েছিলেন দেশে। ২০১৮ সালে সংখ্যাটা ছিল ১.৩৪ লক্ষ। আর ২০১৭ সালে ছিল ১.২৯ লক্ষ। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা ২০ লক্ষ বেড়ে গিয়েছিল। ২০২১ সালেও তাই। তার একমাত্র কারণ করোনা মহামারী বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ করোনা কালে অবসাদ যেমন প্রকট হয়েছে ঠিক তেমন গার্হস্থ হিংসাও বেড়েছিল। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন।