সুদীপ রায় বর্মনের যোগদানে বাড়ছে কংগ্রেস
সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ঘর ওয়াপসি হয়েছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মনের। কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু এক বছরও সুখে ঘর করতে পারেননি বিজেপিতে। তাই তিনি ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফিরে এসেছেন কংগ্রেসে। সম্প্রতি উপনির্বাচনে জিতে কংগ্রেসের বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছেন। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সংগঠন মজবুত করতে ময়দানে নেমেছেন।
বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার কংগ্রেসে
সুদীপ রায় বর্মন ও আশিস সাহা দলে ফেরার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে শক্তি বাড়তে শুরু করেছে কংগ্রেস। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস দাবি করেছে, উত্তর ত্রিপুরায় গত তিনদিনের বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটার কংগ্রেসে য়োগদান করেছেন। ত্রিপুরার উনাকোটি ও ধলাই জেলায় দফায় দফায় চলেছে এই যোগদান।
বিজেপির হাত থেকে মুক্তি চাই, বিকল্প শক্তি কংগ্রেস
২০২৩ সালের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। তার আগে সুদীপ রায় বর্মন, আশিস সাহা ও বীরজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বে মহাশক্তিধর হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। ত্রিপুরা কংগ্রেসের দাবি, বাম-বিরোধী বোটারদের মিলিত সমর্থনে এবং সিপিএমের একাংশের সমর্থনের কারণে বিজেপি নির্বাচনে জিততে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি অত্যাচারী শাসকে পরিণত হয়। তার জেরে ত্রিপুরার মানুষ এখন বিজেপির হাত থেকে মুক্তি চাইছে। বিকল্প শক্তি হিসেবে তাঁরা কংগ্রেসকে বেছে নিচ্ছে বলে দাবি নেতৃত্বের।
মানুষ বিজেপিকে উৎখাত করতে চাইছে ত্রিপুরা থেকে
ত্রিপুরায় ২৫ বছর ধরে বামফ্রন্টের সরকার ছিল। সিপিএম নেতৃত্বাধীন এই সরকারের বিরুদ্ধেও ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছি। স্বজনপোষণ, দুর্নীতি, অনুন্নয়নের ত্রিপুরায় বিজেপি ২০১৮ সালে পরিবর্তন ঘটাতে সফল হয়। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এসে এই চার বছরে ত্রিপুরাবাসীকে প্রতিহিংসার রাজনীতি আর হিংসা ছাড়া কিছু দিতে পারেনি। দুর্নীতি আর কারসাজি করে এরা সরকার টিকিয়ে রেখেছে। মানুষ বিজেপিকে উৎখাত করতে চাইছে ত্রিপুরা থেকে।
ত্রিপুরায় এখন পরিবর্তনের আবহ, বাড়ছে কংগ্রেস
ত্রিপুরায় এখন পরিবর্তনের আবহ তৈরি হয়েছে। বিজেপিকে সরকার টেকাতে মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে। তবুও বিজেপি দলের ভাঙন রুখতে পারেনি। দলের নীচুতলা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি উত্তর ত্রিপুরায় বিজেপি ও তৃণমূলের ১৩৮২টি পরিবার থেকে ৪৯৭৩ জন ভোটার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। উনাকোটি, কুমারঘাট, ধলাইয়ের ৫৮৯ জন ভোটার যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসে দফায় দফায় যোগদান চলছে। সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ফিরে এসেছেন কংগ্রেসে। বিজেপি ও তৃণমূলের আরও অনেক নেতা লাইনে রয়েছেন। ত্রিপুরা ভোটের প্রাক্কালেই অনেকে আসবেন কংগ্রেসে।