ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব চিন
টাইফুন হিন্নামনোরের প্রভাবে পূর্ব চিনের একাধিক শহর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাইফুনের প্রভাবে সাংহাইয়ে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করা হয়। সাংহাই বন্দরে ৫০,০০০ বেশি পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। ওয়েনজুয়ের পূর্বাঞ্চলে ব্যবসায়ী কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রবিবার। সোমবার পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিনা প্রশাসনের তরফে। চিনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তরফে রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ টাইফুনের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। এছাড়াও উত্তর-পূর্ব ঝেজিয়াং, সাংহাই এবং স্বশাসিত তাইওয়ানে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও সমস্ত জাহাজকে বন্দরে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনও ধরনের বড় সমাবেশের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কবলে তাইওয়ান
তাইওয়ানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, শনিবার থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। নিউ তাইপেই, তাওয়ুয়ান এবং সিনচু কাউন্টি থেকে ৬০০ জনের স্থানীয় বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার ফলে একাধিক এলাকা থেকে গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমি ধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। টাইফুনটি মিয়াওলি কাউন্টি থেকে ভূমিধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। টাইফুনের প্রবল ঝড়ের ফলে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ১০০টির বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাইওয়ানে ৪০টির বেশি বিমান বাতিল করা হয়েছে। শতাধিক ফেরি পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জাপানের একাধিক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি
টাইফুনের জেরে জাপান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে ঝড়ের ফলে গাছগুলোকে ভয়ঙ্করভাবে কাঁপতে দেখা গিয়েছে। ইশিগাকি দ্বীপে আমের জন্য তৈরি করা একটি গ্রিন হাউস ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জাপানের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্তমানে টাইফুনের বাতাসের গতিবেগ অনেকটা কমেছে। কিন্তু টাইফুনের জেরে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। একাধিক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে জাপানের আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে।