কংগ্রেসের প্রতিবাদ চলছে
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, দলের তরফে মুদ্রাস্ফীতি-মূল্যবৃদ্ধি-বেকারির বিরুদ্ধে ৫ অগাস্ট তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সময় রাহুল গান্ধীসহ ৭০ জন সাংসদকে আটক করা হয়েছিল।
তিনি বলেছেন, জয়পুরে একটি সমাবেশ হয়েছে। এছাড়াও বিজয় চক থেকে প্রায় ৭০ জন সাংসদকে আটক করেছিল দিল্লি পুলিশ। সংসদের ভিরতে ও বাইরে বিষয়গুলি উত্থাপন করেছেন তাঁরা। বিভিন্ন রাজ্যেও প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এদিনের কর্মসূচি তারই অঙ্গ।
এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ১২-১৩ টি রাজ্য থেকে কর্মী-সমর্থকরা আসছে। তিনি বলেছিলেন, সংবেদনশীল মোদী সরকারের কাছে সাধারণ মানুষ যে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব নিয়ে ভুগছে তা নিয়ে বার্তা পাঠাতে চান। মোদী সরকারের কাছে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে দেওয়ার দাবিতেই এই কর্মসূচি।
গুলাম নবি আজাদ কি বিজেপিকে সাহায্য করছেন?
জয়রাম রমেশকে সদ্য কংগ্রেস ত্যাগ করা গুলাম নবি আজাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেসের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলবেন, বিজেপির নয়।
বিজেপির তরফে কংগ্রেসের কর্মসূচি নিয়ে বলা হয়েছে, তারা দুর্নীতির ইস্যু থেকে জনগণের মন সরিয়ে দিতে চাইছে। এব্যাপারে রমেশ বলেছেন, কংগ্রেস একবছরের বেশি সময় ধরে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে।
মোদী সরকারের দুই ভাই
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, মোদী সরকারের দুই ভাই বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি। মোদী সরকারের দুই ভাই ইডি ও সিবিআই।
এদিনের সমাবেশে কংগ্রেসের বেশ কিছু সিনিয়র নেতার ভাষণের পরে ভাষণ দেন রাহুল গান্ধী। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলের কর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। এইসব কর্মীদের অনেকেই ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেবেন।
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা
৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা সম্পর্কে জয়রাম রমেশ বলেছেন, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যকে তুলে ধরা হবে। তুলে ধরা হবে বেকারত্বের সমস্যা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও প্রচার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।