|
সরফরাজের পাশে দাঁড়ান শেহওয়াগ:
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ে ভাতৃত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছিলেন শেহওয়াগ। পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ তাঁর দুর্বল ইংরেজির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন ঠাট্টার শিকার হচ্ছিলেন তখন তাঁর সমর্থনে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিলেন বীরু। টুইট করে এক 'অভদ্য এবং নিম্ন রুচি সমপন্ন'-এর উদ্দেশ্যে লেখেন, "ইংরেজি বলতে না পারার জন্য সরফরাজের সমালোচনা করাটা উন্মাদের মতো দেখাচ্ছে। ওর কাজ খেলা এবং সেটা দারুণ ভাবে করে পাকিস্তানকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছে।" ইংরেজি বলতে না পারার জন্য সরফরাজের সমালোচনাকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা বলে উল্লেখ করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নক্ষত্র। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের ঠিক আগের দিন এই টুইটটি করেন বীরু।
ভারক'কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান:
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইতিহাস তৈরি করেন সরফরাজ আহমেদ। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় আইসিসি ইভেন্টে পাক বাহিনীকে চ্যাম্পিয়ন করান তিনি। লন্ডনের দ্য ওভালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮০ রানে পরাজিত হয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করে ৩৩৮/৪ রান করে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ফকর জামান করেন ১১৪ রান এই ম্যাচে। পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ১৫৮ রানে। একমাত্র হার্দিক পান্ডিয়া (৭৬) চেষ্টা করেছিলেন কিছু একটা করার। মহম্মদ আমির এবং হাসান আলিতিনটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স:
২০০৯ আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর এটিই ছিল আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের পরবর্তী সাফল্য। পাকিস্তান নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তিন বার আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। এর পর দ্বিতীয় খেতাবটি আসে ২০০৯ সালে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের রূপে। ২০১৭ সালে তৃতীয় সাফল্যটি ধরা দেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হিসেবে।
এশিয়া কাপ ২০২২-এ ভারত-পাক ম্যাচ:
ভারত এবং পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ ২০২২-এ নিজেদের অভিযান শুরু করে। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ম্যাচ উইনিংস পারফরম্যান্স দেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে তিন উইকেট এবং ব্যাট হাতে করেন ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান। ভারতের হয়ে চার উইকেট পেয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। পাকিস্তানের হয়ে সর্বাধিক ৪৩ রান করেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান।