রবিবার ম্যাচে ২১ মিনিটে রাফিনহার গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। প্রথমার্ধেই দ্বিতীয় গোলটির দেখা পায় জাভির দল। ডিফেন্ডার জুলেস কোন্ডার পাস থেকে গোল করে ২-০ গোলে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। ২-০ গোলে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বার্সেলোনার পক্ষে খেলার ফল ৩-০ করেন। এই গোলটিকে বলা যেতে পারে দুই ডিফেন্ডারের পার্টনারশিপের ফসল। কোন্ডা খেলছিলে রাইট ফুল ব্যাকে এবং গার্সিয়া খেলছিলেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের। ফুল ব্যাকের ঠিকানা লেখা ক্রস থেকে বার্সেলোনার হয়ে গোলটি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল করেননি এরিক গার্সিয়া। এটিই ছিল এই ম্যাচের শেষ গোল।
অপর দিকে, রবিবার ফরাসি লিগের খেলায় জয়ে ফিরেছে পিএসজি। অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি ন্যান্তেসকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে প্যারিস সাঁ জাঁ। ম্যাচের শুরুতেই ১৮ মিনিটে ফুটবল যুবরাজ লিওনেল মেসির ঠিকানা লেখা পাস থেকে গোল করে পিএসজি'কে এগিয়ে দেন এলিয়ান এমবাপে। প্রথম গোলের কিছু সময়ের মধ্যেই দুরন্ত পট পরিবর্তন হয় ম্যাচে। মাঠের মধ্যে উগ্র আচরণের জন্য ২৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি সরাসরি মাঠ থেকে মার্চিং অর্ডার দেন ফ্যাবিওকে। মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারটিকে হারিয়ি আরও বিপাকে পড়ে যায় নান্তেস।
প্রথমার্ধে গোল সংখ্যা আর না বাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু কিছু সময়ের মধ্যে নান্তেজ দশ জনে খেলার ফলে সুবিধা নিয়ে ৫৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে পিএসজিকে ফের এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। ঠিক যেন প্রথম গোলের অ্যাকশন রিপ্লে। নান্তেজের কফিনে পিএসজি শেষ পেরেকটি পোঁতেন নুনো মেন্ডেজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জুয়ান বার্নাটের পরিবর্তে নামা নুনো ম্যাচের শেষ গোলটি করেন ৬৮ মিনিটে। শনিবারের খেলায় প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট নষ্ট করেছে লিভারপুল। ছন্দ হাতড়ে বেড়ানো এভার্টনের সঙ্গে গোলশূ্ন্য ড্র করে দলটি। বুন্দেশলিগায় বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইউনিয়ন বার্লিনের ম্যাচ ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়। দু'টি গোলই আসে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে।