গরুপাচার কাণ্ডে এনামূল ঘনিষ্ঠ সহযোগি জেনারুলকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃত ব্যবসায়ী জঙ্গিপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফয়ের সঙ্গে যোগসাজস করে সীমান্ত দিয়ে গরুপাচার করত সে। এমনই জানতে পেরেছেন সিআইডির আধিকারীকরা। ১৮০০ গরু কিনে, তার মধ্যে ১২০০ গরুকে মৃত বা নিখোঁজ দেখিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হত। তদন্তে জানতে পেরেছে সিআইডি।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি সিআইডিও গরুপাচার কাণ্ডের তদন্ত করেছে। সিবিআই হেফাজতে রয়েছে গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম চাঁই এনামূল হক। তাঁেক জেরা করেই প্রকাশ্যে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে আদালতে পেশের সময় সিআইডির পক্ষ েথকে বলা হয়েছিল, গরুপাচার জাতীয় পর্যায়ের অপরাধ। এতে বিএসএফের যোগও রয়েছে।
মমতা সরকারের পক্ষ থেকে বারবার গরুপাচার কাণ্ডে বিএসএফের জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। বিএসএফ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে না। কেন শাসক দলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর সিবিআই বীরভূম জেলা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। গরুপাচারের কমিশনের টাকা থেকেই নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি কেষ্ট করেছিলেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
এদিকে সিআইডি তদন্তে বারবার বিএসএফ যোগপ্রকট হচ্ছে। শনিবার সিআইডি গরু পাচারকাণ্ডে আবদুল বারিক ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় মালিককে সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে। কয়লা পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন সঞ্জয় মালিককে। গরু পাচারেও তাঁর নাম জড়িয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদ রঘুনাথপুর বেলডাঙা হয়ে গরুপাচার হত। সেখানকার পুলিশ অফিসাররা জড়িত রয়েছেন এই ঘটনা। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।