বিজেপির আবার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বাংলার দুই নেতা
সম্প্রতি বাংলায় মন্থন শিবির করল বিজেপি। সেখানে বিজেপি এক সূত্রে গাঁথতে চেয়েছিল শীর্ষসারির সমস্ত নেতাকে। কিন্তু তা কতটা হল সে বিচারের থেকে, কতটা কোন্দল প্রকাশ্যে এল, তা নিয়ে চর্চা হয়েছে বেশি। বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী মন্থন শিবিরকে কার্যত পিকনিক বলে কটাক্ষ করেছে। আর একাংশ ডাক না পাওয়ায় গর্জে উঠেছে। আবার গরহাজির থেকে তিন মন্ত্রী-সহ ছয় সাংসদ। এই অবস্থায় বিজেপির আবার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বাংলার দুই নেতা।
বিজেপির অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে
বিজেপির বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তিনি বলেছিলেন এ বিজেপির পক্ষ বাংলার বিস্তারলাভ করা সঙ্কট। আর এদিন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার গর্জে উঠেছেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তিনি রাখঢাক না করেই বলেন, দলে অনুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। ফলে বিজেপির অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে।
দলে অনুশাসনের অভাবে বিজেপির মধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে সমস্যা
বিজেপিতেই রানাঘাটের সাংসদকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তিনি বারবার বেসুরো হয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, দলের অনুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। যাঁরা চার সমালোচনা করছেন দলের অন্দরে, তাঁরা আসলে তৃণমূলের চর। দলের মধ্যেও কিছু খোচর ও দালাল থাকে। শুধু বিজেপিতেই নয়, তৃণমূল-সহ অন্য দলেও রয়েছে এ ধরনের চর। কিন্তু দলে অনুশাসনের অভাবে বিজেপির মধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে এ জাতীয় সমস্যা।
তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিতে পারছে না বিজেপি
এদিন তিনি তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ছোটো, বড়ো, মেজো সমস্ত নেতারাই চোর। এরা সবাই চুরি করে বড়লোক হয়েছে। যাঁরা এক সময় তোলাবাজি করত, তাঁরা আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। তাঁরাই এখন নেতা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাই এখল লাগাতার আন্দোলনের দরকার। তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিতে হবে বাংলার মানুষের সামনে। কিন্তু সেই কাজ করতে পারছে না বিজেপি।
বাংলাজুড়ে ঝড় তুলতে দেখা যাচ্ছে না বিজেপিকে
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বিজেপি মস্ত বড় হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই জ্বলন্ত ইস্যুকে কাজে লাগাতে পারছে না বিজেপি। তাঁরা আন্দোলন করছে, কিন্তু বিক্ষিপ্ত। জনমানসে প্রভাব ফেলার পক্ষে তা যথেষ্ট নয়। এই সময় বিলাসবহুল হোটেলে মন্থন শিবির না করে পথে থাকার দরকার। কিন্তু বিজেপিতে কর্মসূচির অভাব রয়ে গিয়েছে। শুধু নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েই ক্ষান্ত বিজেপি। কিন্তু বাংলাজুড়ে ঝড় তুলতে দেখা যাচ্ছে না বিজেপিকে। তাই সারদা-রোজভ্যালি-নারদ মামলায় যেমন ফায়দা তুলতে পারেনি বিরোধীরা, এবারও না জলে যায় হাতে-গরম ইস্যু!