এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল আফগানিস্তান। এরপর বাংলাদেশকে উড়িয়ে আফগানরা সুপার ফোরে গিয়েছিল অপরাজেয় থেকেই। তবে আজ শারজায় সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই পরাস্ত আফগানিস্তান। মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে আফগানিস্তান তোলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪.৫ ওভারে ৪৬। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জারদান। ৪টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে উইকেটকিপার গুরবাজ ৪৫ বলে ৮৪ রান করেন। জারদানের সংগ্রহ ৩৮ বলে ৪০। শ্রীলঙ্কার হয়ে দিলশান মাদুশঙ্কা ২টি এবং মাহিশ থিকশানা ও আসিথা ফার্নান্দো একটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে খেলতে নেমে হিসেব কষেই এগোতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ১৪.১ ওভারে ১১৯ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেট। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা ৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল ছয়ে নামা ভানুকা রাজাপক্ষের ঝোড়ো ইনিংসের দৌলতে। তিনি চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ১৪ বলে ৩১ রান করেন। ১৮.৩ ওভারের মাথায় তিনি যখন আউট হন তখন শ্রীলঙ্কার জিততে ২ রান দরকার। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ২৮ বলে ৩৫ ও কুশল মেন্ডিস ১৯ বলে ৩৬ রান করেন। দানুষ্কা গুণতিলকা ২০ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
আফগানিস্তান চলতি এশিয়া কাপে এই প্রথম পরাজয়ের সম্মুখীন হলো। মুজিব উর রহমান ও নবীন উল হক ২টি করে এবং রশিদ খান ও মহম্মদ নবি একটি করে উইকেট দখল করেন। কাল ভানুকা বলেন, উইকেট ভালোই ছিল। সে কারণে আফগানিস্তানও ভালো ব্যাটিং করতে সক্ষম হয়। আমাদের শুধু স্পিনারদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার পরিকল্পনা ছিল। আইপিএলে তিনে ব্যাট করেছি। মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করতে আমাকে পাঁচেও নামানো হয়। আমি যে কোনও পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত। উপভোগও করি। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৫ রানে অল আউট হওয়া আমাদের কাছে অস্বস্তির কারণ ছিল। দেশের সকলের কাছে এটা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দরকার ছিল আমরা খারাপ দল নই। শারজায় তো বটেই, টি ২০-তে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এটাই রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার সেরা জয়।