বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঝাড়খণ্ডের দেওঘর বিমানবন্দরের ডিএসপি সুমন আনানের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, মনীশ তিওয়ারি সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দেওঘর বিমান বন্দরে জোর করে প্রবেশ ও কর্মীদের ওপর নিজেদের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এফআইআর অনুযায়ী ৩১ অগাস্ট গোড্ডা থেকে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, তাঁর ছেলে কনিষ্ককান্ত দুবে, সাংসদ মনোজ তিওয়ারি, মুকেশ পাঠক, দেবতা পাণ্ডে এবং পিন্টু তিওয়ারি বিমানবন্দরের উচ্চ-নিরাপত্তাযুক্ত এলাকা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) ঢুকে পড়েন। সেখানে প্রবেশের জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেননি। তাদের চাটার্ড বিমান ছাড়ার জন্য বার বার কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে থাকেন। এক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
দেওঘর বিমানবন্দরের সীমাবদ্ধতা
ঝাড়খণ্ডের দেওঘর বিমানবন্দরটি নতুন তৈরি হয়েছে। এখনও বিমানবন্দরটিতে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রাতে বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল এখনও শুরু হয়নি। বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সূর্য ডোবার আধঘণ্টা আগেই বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগকারী বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনার দিন সূর্যাস্তের সময় ছিল ৬টা বেজে তিন মিনিট। কিন্তু বিজেপি নেতাদের নিয়ে চাটার্ড বিমানটি ৬.১৭ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে রহনা দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার বিজেপি সাংসদের
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা যখন অনুমতি চাইতে গিয়েছিলাম, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আপত্তি করেনি। আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়েছি। আমরা এই মামলা লড়তে প্রস্তুত। আমরা আমাদে দিকের ঘটনা তুলে ধরব।' ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওঘর বিমান বন্দরে নিরাপত্তা বিধি অবহেলা করেছেন বলে দেওঘর জেলাশাসক মঞ্জুনাথ ভজনত্রির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই সাংসদ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদ
শুক্রবার রাত অর্থাৎ ঘটনার দিন জেলাশাসক মঞ্জুনাথ ভজনত্রি টুইটারে বলেন, বিজেপি নেতারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধি বিঘ্নিত করেছেন। জোর করে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে চাটার্ড বিমানের ছাড়পত্র আদায় করেছেন। এর জেরে তাঁরা জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন। এই টুইটের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান নিশিকান্ত দুবে। তিনি টুইটে লেখেন, 'আমি আপনাকে নতুন করে বিমান চলাচলের নিয়মগুলো পড়ার পরামর্শ দেব। নিয়ম সম্পর্কে একজন আইএএস অফিসার ভালো জানবেন বলে দেশের মানুষ আশা করেন। বর্তমানে বিষয়টি বিচারাধীন। তবে আশা করব বিমান চলচলের নিয়ম জেনে আপনি ভবিষ্যতে তর্ক করতে আসবেন।'