মোদী-দিদি সেটিং তত্ত্ব প্রসঙ্গে
সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবং অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর অগাস্টের প্রথমেই মমতা বন্যোইপপাধ্যায় দিল্লি ছুটেছিলেন। দিল্লি সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়ে সঙ্গে একান্তে বৈঠক করছিলেন। সেই বৈঠককে কেন্দ্র করেই সেটিং তত্ত্ব মাথাচাড়া দিয়েছিল।
দিদি বিপাকে পড়লে ছোটেন মোদীর শরণে
সিপিএমের তরফে আওয়াজ তোলা হয়েছিল, যখনই দিদি বিপাকে পড়েন সমস্যার সমাধানে ছোটেন মোদীর শরণে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার তাঁর দল ও সরকার বিপাকে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছেন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসও এই তত্ত্বেও আওয়াজ তুলেছিলেন।
মোদী-দিদি সেটিং তত্ত্ব খারিজ করে কী বললেন সুকান্ত
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন সেই তত্ত্ব সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন। তাঁর সাফ কথা, দিদি ও মোদীর কোনও সেটিং নেই। যদি সেটিং থাকত তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হতেন না। আর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর অনুব্রত মণ্ডলও গ্রেফতার হতেন না। এভাবেই তিনি মোদী-দিদি সেটিং তত্ত্ব খারিজ করে দেন।
আজও বড় কিছু ঘটতে পারে, কীসের ইঙ্গিত সুকান্তের
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, শুধু কি পার্থ ও অনুব্রত! আমার তো মনে হচ্ছে আরও কয়েকজন জেলে ঢুকবে। তারপরই তিনি মন্তব্য করেন, আজও বড় কিছু ঘটতে পারে। তাই আজ কি ঘটে সেদিকে নজর রাখুন। এদিন তাঁর এই কথায় জল্পনা তৈরি হয়। হঠাৎ তিনি এ কথা বললেন কেন? তবে কি তাঁর কাছে আগাম কোনও খবর রয়েছে? তবে কি বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই ইডি-সিবিআই তৎপরতা বেল যে অভিযোগ উঠছে, তা সত্য?
অভিষেককে ইডির তলবে জল্পনা বাড়ালেন সুকান্ত
সুকান্ত মজুমদার এমনই একটা সময়ে এই মন্তব্য করেছেন, যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সুকান্তের আরও বড় কিছু ঘটতে পারে মন্তব্যে তাই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি কয়লা পাচার-কাণ্ডে এদিন গ্রেফতার করা হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই বড় ঘটনার কথাই কি আদতে বলতে চেয়েছেন সুকান্ত? তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সুকান্তের মন্তব্যের পাল্টা কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
সুকান্ত মজুমদারের এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, আর যাই হোক সুকান্ত মজুমদার স্বীকার করে নিয়েছেন, তৃণমূল কোনও সেটিং করে না। সাংসদ শান্তনু সেন ওই মন্তব্যের পাশাপাশি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এজেন্সিকে পরিচালনা করছে বিজেপি, আবারও প্রমাণ করে দিলেন সুকান্ত-রা। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, মোদী-দিদি সেটিং হয়ে গিয়েছে, অতএব ভাইপোর ভয়ের কিছু নেই।