জাপান ওপেন থেকে খালি হাতেই ফিরতে হলো ভারতীয় শাটলারদের। পুরুষদের সিঙ্গলসে আশা ছিল এইচএস প্রণয়কে ঘিরে। কিন্তু শক্ত প্রতিপক্ষের কাছে হেরে ভারতীয় এই শাটলার বিদায় নিলেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। যদিও প্রথম গেমে পিছিয়ে পড়া প্রণয় তিনটি গেমেই দারুণ লড়াই চালালেন। খেলা চলল ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সম্প্রতি ব্রোঞ্জজয়ী চাইনিজ তাইপের চৌ তিয়েন চেনের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন ৩০ বছরের প্রণয়। প্রথম গেমটি ২১-১৭ ব্যবধানে জিতে নেন চেন। তবে পরের গেমেই ঘুরে দাঁড়ায় প্রণয়, ২১-১৫ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেমটি জিতে সমতা ফেরান। নির্ণায়ক তথা তৃতীয় গেমটিতে চলল টানটান লড়াই। তিনবার ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়েও অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারেননি প্রণয়। এই গেমটি তিনি ২০-২২ ব্যবধানে পরাস্ত হন।
সাম্প্রতিককালে দারুণ ছন্দে থাকা প্রণয় এদিন হেরে গেলেও তাঁর লড়াই স্মরণীয় হয়ে থাকল। শেষ অবধি প্রতিপক্ষের উপর চাপ বজায় রেখে গেলেন তিনি। এদিনের লড়াইয়ের আগে শেষ দুটি সাক্ষাতে চৌ-কে হারিয়েছিলেন প্রণয়। প্রথম গেমে ১২-৮ ব্যবধানে এগিয়েও ছিলেন। কিন্তু চৌ কামব্যাক করে এগিয়ে যান ১৫-১৪ ব্যবধানে। প্রণয়ের দুবারের নেট শট সমস্যায় এরপর লিড বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হন চৌ। দ্বিতীয় গেমে আবার চৌ এগিয়ে ছিলেন। ৬-১০ পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে প্রণয় দারুণ কিছু র্যালির সৌজন্যে ১০-১০ করে ফেলেন। বিরতিতে চৌ সামান্য এগিয়ে থাকলেও এরপর প্রণয়ের দারুণ ডিফেন্স ও দুরন্ত স্ম্যাশ চৌ-এর সমস্যা বাড়ায়। প্রণয় এগিয়ে যান ১৯-১৪ ব্যবধানে। এরপর চৌ দারুণ স্ম্যাশে প্রণয়ের সার্ভ ভাঙলেও দ্বিতীয় গেম জিততে প্রণয়ের অসুবিধা হয়নি।
তৃতীয় গেমে অবশ্য প্রণয় শুরু থেকেই চেনা ছন্দে ছিলেন না। ১-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন। এরপর কিছুটা লড়াই চালালেও চৌ এগিয়ে থাকেন ৬-৪ ব্যবধানে। শাটলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় প্রণয়ের একাধিক আনফোর্সড এরর বিরতিতে চৌ-কে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে রাখে। এরপর কয়েকটি ভালো র্যালি ও দুটি ক্রস কোর্ট রিটার্নের সৌজন্যে প্রণয় ব্যবধান কমিয়ে ১২-১৩ করে ফেলেন। কিন্তু তারপর ফের প্রণয়ের আনফোর্সড এররের সুবিধা নিয়ে লিড বাড়িয়ে ১৭-১৪ করেন চৌ। বডি স্ম্যাশের মাধ্যমে তিন পয়েন্টের ব্যবধান বজায় রেখে তিনটি ম্যাচ পয়েন্টও আদায় করেন তিনি, কিন্তু শেষ অবধি মরিয়া লড়াই চালাতে থাকেন প্রণয়। যদিও শেষ হাসি চৌ-ই হাসেন।