চিটফান্ড মামলাতে নয়া মোড়। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হালিশহরের পুরসভার চেয়ারম্যান। সন্মার্গ কোঅপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল নেতা রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকার নগদ পাওয়া গিয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে টাকা গণনা চলছে বলেই খবর। ফলে টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনকি থাইল্যান্ডে ওই তৃণমূল নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যেখানে মাসখানেক আগেও পাহাড় প্রমাণ টাকা লেনদেন হওয়ার প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, একটি দেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যে চিটফান্ড মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আর সেই মামলায় সিবিআই র্যাডারে ছিল সন্মার্গ কোঅপারেটিভ নামে এই সংস্থাটি। বেআইনি ভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে এই সংস্থার। আর সেই বিষয়ে তদন্ত নেমে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করেছে সিবিআই।
আর সেই জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক ব্যাক্তির কাছে রাজু সাহানির নাম পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরেই হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, একাধিক বিষয়ে রাজু সাহানিকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বারবার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা।
এমনকি তদন্তে সম্পূর্ণ ভাবে অসহযোগিতা করছিলেন বলেও সিবিআই সূত্রে জানা যায়। শুধু তাই নয়, নগদ ওই ৮০ লাখ টাকা কীভাবে কোথা থেকে আসল সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কোনও উত্তর ওই তৃণমূল নেতা দিতে পারেনি বলেই খবর। আর এরপরেই হালিশহরের পুরসভার চেয়ারম্যানকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সিবিআই স্যত্রে খবর, সন্মার্গ কোঅপারেটিভ চিটফান্ডকে নানা ভাবে সুবিধা করে দিতেন ওই তৃণমূল নেতা। আর এজন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা মনে করছে, তৃণমূল নেতা রাজু সাহানিকে জেরা করে এই চিটফান্ড সংস্থার আরও দুত্রে পৌঁছানো সম্ভব।
এমনকি এর পিছনে আরও বড় মাথা জড়িত বলেও মনে করা হচ্ছে। ফলে রাজুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই। বলে রাখা প্রয়োজন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা সহ রাজ্যের একাধিক চিটফান্ড মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে একাধিক প্রভাবশালীকে জেরা করেছে সিবিআই। এমনকি গ্রেফতারও করা হয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত চিটফান্ড মামলাগুলির কোনও নির্জাস সিবিআই দিতে পারিনি। যা নিয়ে একটা ক্ষোভ রয়েছে জন মানসে। এমনকি এই নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে সিবিআইকে।