এবার পোলান্ডে বর্ণ বিদ্বেষের মুখে পড়লেন এক ভারতীয়। তাঁকে পারাসাইট বা পরজীবী বলে নিশানা করা হয়েছে। পোল্যান্ডে বর্ণ-বিদ্বেষের শিকার ভারতীয় ব্যক্তির উপর নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি একজন ভারতীয়ের উপর নির্দয় আক্রমণ চালাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ব্যাপক শেয়ার হয়েছে। চার মিনিটের ভিডিও-য় অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলা হয়েছে ভারতীয়দের সম্পর্কে। তির্যক মন্তব্য করা হয়েছে এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তির দ্বারা। ভারতীয়রা ইউরোপের উপর আক্রমণ শানিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয় ওই বিতর্কিত ভিডিও-তে।
বিতর্কিত ভিডিও-তে বলা হয়, কেন আপনি পোল্যান্ডে পড়ে আছেন, আমেরিকাতে আপনার অনেক বেশি আছে। ভিডিওতে শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি ভারতীয়দের দিকে ক্যামেরা তাক করে ওই কথা বলেন। ভারতীয় ব্যক্তি বারবার আবেদন করতে থাকে, তাঁর ছবি না তুলতে। যত ওই ভারতীয় ব্যক্তি এই বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করেছেন, ততই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ওই শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে জন মিনাডিও জুনিয়র হিসেবে শনাক্ত করেছেন। তিনি একজন নব্য নাৎসি। একটি ঘৃণ্য গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন তিনি। তিনি নানা সময়ে নানা গুজব ছড়ান। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন জাতির উদ্দেশ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেন। এর আগে ইহুদিদের বিরুদ্ধেও তিনি নানা কু-মন্তব্য করেছিলেন। অপপ্রচার করেছিলেন।
তাঁর এই ধরনের নিন্দনীয় কাজের সর্বশেষ সংস্করণ হল ভারতীয়ের উপর আক্রমণ এবং বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যে তিনি ভারতীয়দের নোংরা সমালোচনা করেছেন। ভারতীয়দের আক্রমণকারী বলেও কটাক্ষ করেছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কেএফসির বাইরে দাঁড়িয়ে ইংরেজিতে তিনি ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।
এর আগে আমেরিকাতেও বর্ণ-বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ভারতীয়রা। গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ায় একজন একজন ভারতীয়কে নোংরা হিন্দু, ঘৃণ্য কুকুর বলা হয়েছিল। টেক্সাসে আবার একজন মহিলাকে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। কারণ তারা আমেরিকাকে ধ্বংস করছে। একের পর এক এই ধরনের বর্ণ-বিদ্বেষী ঘটনা ঘটে চলেছে।
টেক্সাসের ঘটনায় আবার এক ভারতীয় মহিলার মুখে ঘুসিও মারা হয়। গুলি করে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়। ভিডিও-য় দেখা যায়, টেক্সাসের প্ল্যানোর সিক্সটি ভাইন রেস্তোরাঁর বাইরে আমেরিকার একজন শ্বেতাঙ্গ মহিলা গাড়ি রাখার জায়গায় কিছু ভারতীয়-আমেরিকান মহিলাদের উদ্দেশ্য করে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেন।