চিঠিতে কী লিখেছেন শশী থারুর
মধুসূদন মিস্ত্রিকে লেখা চিঠিতে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর কংগ্রেসে আসন্ন সভাপতি নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রকাশ করার আবেদন করেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মনোনয়ন প্রক্রিয়ার জন্য ১০ জন প্রস্তাবক থাকবেন। তাঁদের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি হতে হবে। শশী থারুর দাবি করেছেন, সমস্ত প্রতিনিধি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শশী থারুরের পাশাপাশি মনীশ তিওয়ারি ও কার্তি চিদাম্বরম কংগ্রেসের আসন্ন সভাপতি নির্বাচনে স্বচ্ছতার দাবি করেছেন। সেই কারণে তাঁরাও ভোটার তালিকা প্রকাশের সওয়াল করেছেন। অন্যদিকে, শশী থারুর চিঠিতে দাবি করেছেন, কে মনোনয়ন দিতে পারেন ও কংগ্রেসের আসন্ন নির্বাচনে কে ভোট দিতে পারেন, তা সকলের জানা প্রয়োজন।
দলের নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন
একটি অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুর জানিয়েছেন, 'ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনীশ তিওয়ারি যদি ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি করেন, সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় সকলের একমত হওয়া উচিৎ। প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন কে মনোনয়ন দিতে পারেন ও কে ভোট দিতে পারেন। এই দাবিতে কোনও অন্যায় নেই। এটা জানা দলের সমস্ত কর্মীদের অধিকার।'
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা যাবে না!
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি পাল্টা দাবি করেছেন, নির্বাচন স্বচ্ছভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ হয়েছে। যদিও চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা যাবে না। এই নির্বাচনে যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ মানিক ঠাকুর ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবির বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি তৈরি করা উচিত নয়। দলের উন্মুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করা উচিৎ।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ অক্টোবর। সভাপতি নির্বাচন হবে ১৭ অক্টোবর। ১৯ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হবে।