মির্চি বাবা থেকে মুরগা মঠের প্রধান, কোন কোন ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কর্ণাটকের মুরগা মঠের প্রধান শিবমূর্তি মুরগা শারনারুকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের প্রতিষ্ঠানে দুই নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ শুধু ওই দুই নাবালিকা নয়, আরও কিশোরীদের মঠের অভ্যন্তরে যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না।

কর্ণাটকের এই ঘটনা কোনও ব্যতিক্রমী হয়। দেশে বার বার স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তারমধ্যে অনেকেই বর্তমানে কারাগারের পিছনে। আবার অনেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

রাঘবেশ্বর ভারতী

কর্ণাটকেই রাঘবেশ্বর ভারতী ধর্মগুরু হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। বছর পঞ্চাশের এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। রাঘবেশ্বর ভারতী রামচন্দ্রপুরা মঠের প্রধান ছিলেন। নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, এই রাঘবেশ্বর ভারতী ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বার বার ধর্ষণ করেছিলেন। ২০১৬ সালে কর্ণাটক হাইকোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ নেই বলে হাইকোর্ট জানিয়েছিল।

আসারাম বাপু

ভারতের অন্যতম বির্তিক স্বঘোষিত ধর্মগুরু ছিলেন আসারাম বাপু। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল। আসারামকে ২০১৩ সালে আশ্রমের পড়ুয়া ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

নারায়ণ সাঁই

আসারাম বাপুর ছেলে নায়ারণ সাঁইকেও এক মহিলা শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ওই মহিলা শিষ্যাকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। ২০১৩ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল

বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালের ঘটনা কেরলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রোমান ক্যাথলিক গির্জার জলন্ধর ডায়োসিসের বিশপ থাকাকালীন একাধিক সন্ন্যাসীনিকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একাধিক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেয়।

ফাদার টমাস পারেকুলাম

চার জন নাবালক ছাত্রকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের মে মাসে কেরলের একটি আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ১৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।

মির্চি বাবা

বিতর্কিত ধর্মগুরু স্বামী বৈরাগ্যানন্দ গিরি ওরফে মির্চি বাবা ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস বিরোধী প্রচার করেছিলেন। ২০২২ সালে এক তরুণীকে গর্ভধারণে সাহায্য করার অজুহাতে ধর্ষণ করেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। ওই তরুণীকে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

বজরং মুনি দাস

মহর্ষি শ্রী লক্ষণ দাস উদাসি আশ্রমের সন্ন্যাসী বজরং মুনি দাস বিতর্কিত মন্তব্যকরে ২০২২ সালের এপ্রিলে সংবাদের শিরোনামে চলে আসেন। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে একটি বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিলেন। এর জেরে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জামিনের পর তিনি একটি মসজিদের সামনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি একটি সম্প্রদায়কে বোঝাতে জিহাদি শব্দ ব্যবহার করেন।

More SEXUAL ASSAULT News  

Read more about:
English summary
there is a list of more seers, priests, and fake babas who have been accused of rape
Story first published: Friday, September 2, 2022, 13:53 [IST]