শহরে বেকারত্বের হার বেশি
সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তরফে জানানো হয়েছে, শহরের বেকারত্বের হার গ্রামের থেকে বেশি। চলতি বছরের অগাস্টে শহরের বেকারত্বের হার ছিল ৯.৬ শতাংশ। সেখানে গ্রামের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, চলতি বছরে অসম বৃষ্টিপাতের জেড়ে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে অগাস্টে বেকারত্বের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
গ্রামে বেকারত্ব হারের বৃদ্ধির কারণ
রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রামীন ভারতে জুলাই মাসে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ ছিল। অগাস্টে এক ধাক্কায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশ। পাশাপাশি গ্রামে কর্মসংস্থান কমেছে। জুলাই মাসে গ্রামীণ ভারতে যেখানে কর্মসংস্থানের হার ছিস ৩৭.৬ শতাংশ। তা অগাস্টে কমে ৩৭.৩ শতাংশ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৃষ্টিপাতের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে. কোথাও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। তো কোথাও প্রয়োজনের থেকে অনেকটা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর জেরে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই কারণেই গ্রামীণ ভারতে কর্মসংস্থান কমেছে। বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেপ্টেম্বরে কমতে পারে বেকারত্বের হার
ব্যাস জানিয়েছেন, আগামী মাসগুলোতে গ্রামের বেকারত্বের হার কমতে পারে। বিলম্বিত বর্ষার জেরে একাধিক জায়গায় নতুন করে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যার ফলে নতুন করে চাষের কাজ বৃদ্ধি পাবে। পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে বলে তিনি মনে করছেন। তবে আগামী মাসগুলোতে শহরের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে না হ্রাস পাবে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে তিনি মনে করছেন। এর জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
বেকারত্বের শীর্ষে হরিয়ানা
সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে বেকারত্বের শীর্ষে রয়েছে হরিয়ানা। অগাস্টে হরিয়ানায় বেকারত্বের হার ছিল ৩৭.৩ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর ৩২.৮ শতাংশ, রাজস্থান ৩১.৪ শতাংশ, ঝাড়খণ্ড ১৭.৩ শতাংশ ও ত্রিপুয়ার ১৭.৩ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী ছত্তিশগড়ে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন। ০.৪ শতাংশ। এর ঠিক ওপরেই রয়েছে মেঘালয় ২ শতাংশ, মহারাষ্ট্র ২.২ শতাংশ। গুজরাত ও ওড়িশায় বেকারত্বের হার ২.৬ শতাংশ বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।