সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই
মুখ্যমন্ত্রী হমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা নিয়ে সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু মাদ্রাসাকে কোথাও ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে না তো? সেদিকে নজর অসম সরকারের বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়া গেলেই তা ভেঙে দেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট বার্তা হিমন্তের। কার্যত এই ইস্যুতে সরকারি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে বলে দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে সে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কড়া নজরদারি এবং ধরপাকড় চালাচ্ছে বলেও দাবি।
৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকসহ ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আর এরপর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। শুধু তাই নয়, সম্পতি বাঙ্গাইগাঁওয়ে একটি অবৈধ মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই মাদ্রাসায় দুশোরও বেশি বাচ্ছা পড়াশুনা করত। কিন্তু মাঝ রাতেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরো মাদ্রাসা খালি করেই ভাঙা হয় বলে খবর। ওই মাদ্রাসায় পড়াতেন এক শিক্ষককে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। আর এরপরেই ওই মাদ্রাসা ভেঙে দেওয়া হয়। যদিও এর আগে অসমে আরও দুটি মাদ্রাসা ভেঙে দেয় অসম প্রশাসন।
ত্যাচার বাড়ছে বলে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে।
যদিও ২০২৪ সালের আগে সে রাজ্যে মুসলিমদের উপর অত্যাচার বাড়ছে বলে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এআইইউডিএফ সভাপতি মৌলানি বদরুদ্দিন আজমলের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে মাদ্রাসাগুলিকে ভাঙা হচ্ছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষদের মধ্যে ভয়ের অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আজমল সাহেবের। যদিও গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশ ভারতের মাটিতে আল-কায়েদা এবং বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বেশ কয়েকটি মডিউল ধ্বংস করেছে। এই সমস্য মডিউল রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই কাজ করা হত। আর এই সংক্রান্ত গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পরেই