যেসব সম্প্রদায়ের জন্য সুপারিশ
উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার ২০১৯-এর ২৪ জুন রাজ্যের মাঝওয়ার, কাহার, কাশ্যপ, কেভাত, মাল্লা, নিষাদ, কুমহার, প্রজাপতি, ধীভার, ধীমান, বিন্দ, ভার, রাজভর, বাথম, তুরহা, গোদিয়া, মাঝি, মাছুয়া, এই ১৮ টি ওবিসি সম্প্রদায়কে তফশিলি তালিকা ভুক্ত করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন।
খারিজ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট
বিষয়টি নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি সংগঠনের তরফে। এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিআইএল-এর মাধ্যমে ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর গ্রন্থালয় এবং জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি হরিশরণ গৌতম সরকারি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি জেজে পুনিরের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে তফশিলি জাতির তালিকা পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। সেই কারণে সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হচ্ছে।
এর আগেও দুবার একই পরিস্থিতি
তবে শুধু যোগী সরকারের প্রচেষ্টা বাধা পেল তাই নয়, এর আগে ২০০৫ সালে মূলায়ম সিং যাদব এবং ২০১৬-তে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী সরকার একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। হাইকোর্টের রায়ে এই ধরনের সব বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির নিশানায় বিজেপি
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি। তারা বলেছে ১৮ টি সব থেকে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ যোগী সরকারের অকার্যকর পদক্ষেপের কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির তরফে বলা হয়েছে দলের সভাপতি অখিলেশ যাদব ১৮ টি অনগ্রসর সম্প্রদায়কে তফশিলি জাতিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের আরও অভিযোগ বিজেপি সরকার মামলাটি সঠিক ভাবে পরিচালনা না করতে পারার কারণে সংরক্ষণ বাতিল হয়ে গিয়েছে।