ডি কোম্পানি
তদন্তটি 'ডি' কোম্পানির সঙ্গে জড়িত। দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক এবং জাল ভারতীয় মুদ্রার নোট (এফআইসিএন) পাচার করার জন্য এবং পাকিস্তানী এজেন্সি এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য ভারতে একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে। অন্যান্যদের মধ্যে এনআইএ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম ওরফে হাজি আনিসের জন্যও পুরস্কার ঘোষণা করেছে; ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাভেদ প্যাটেল ওরফে জাভেদ চিকনা; শাকিল শেখ ওরফে ছোট শাকিল; এবং ইব্রাহিম মোশতাক আব্দুল রাজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
কার জন্য কত টাকা ঘোষণা করা হয়েছে?
ইব্রাহিমের জন্য পুরষ্কারের ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছে। এজেন্সি ছোট শাকিলের জন্য ২০ লক্ষ টাকা এবং আনিস, চিকনা এবং মেমনের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছে। এরা অস্ত্র চোরাচালান, নারকো সন্ত্রাস, আন্ডারওয়ার্ল্ড ক্রিমিনাল সিন্ডিকেট, মানি লন্ডারিং, এফআইসিএন প্রচলন, সন্ত্রাসের তহবিল সংগ্রহের জন্য মূল সম্পদের অননুমোদিত দখল/অধিগ্রহণ এবং লস্কর সহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সাথে সক্রিয় সহযোগিতায় কাজ করার মতো বিভিন্ন সন্ত্রাস-অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে এর কাজ করে সেগুলি হল লস্কর -ই-তৈবা (এলইটি), জইশ-ই-মহাম্মদ (জেএম) এবং আল কায়েদা (একিউ)। এমনটাই জানিয়েছে এনআইএ জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী
দাউদ ইব্রাহিমকে ২০০৩ সালে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করে, ১৯৯৩ সালের বোম্বে বোমা হামলায় তার ভূমিকার জন্য তার মাথার জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এবং ফোর্বস দ্বারা "দ্য ওয়ার্ল্ডস টেন মোস্ট ওয়ান্টেড এর তালিকায় তিন নম্বরে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি, পাকিস্তান সরকার 'FATF' নিষেধাজ্ঞা এড়াতে, দাউদ এবং অন্যান্য ৮৭ জনকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তালিকাভুক্ত করে।
পাক বাসিন্দা দাউদ
দাউদ আগে পাকিস্তানের করাচিতে বসবাস করত বলে জানা গিয়ছিল, যদিও পাকিস্তান সরকার তা অস্বীকার করে। ২০২০ সালে, ভারত সরকার মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় কোঙ্কনে রত্নাগিরি জেলার তার পৈতৃক গ্রামে দাউদের ছয়টি সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়। সরকার স্মাগলারস অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটরস (সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা) আইন (SAFEMA), ১৯৭৬ এর অধীনে তার সম্পত্তির ই-নিলামের আয়োজন করে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে দাউদের তিনটি সম্পত্তি যার মধ্যে বিখ্যাত রৌনক আফরোজ রেস্টুরেন্ট, যা দিল্লি জাইকা নামেও পরিচিত সেটি সরকার নিলাম করে দিয়েছিল।