কর্নাটকের চিত্রদূর্গের লিঙ্গায়েত মঠের সন্ত শিবমূর্তি মুরুগা শারানারু শেষ অবধি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন। দিন ছয়েক আগে তার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সেই নিয়ে কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। শিবমূর্তির বিরুদ্ধে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা আইন পকসো অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়। তারপরে এদিন সন্ধ্যের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পরে শিবমূর্তিকে চিত্রদুর্গের সরকারি হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে পুলিশ এদিন মঠের হস্টেল ওয়ার্ডেন রেশমিকে গ্রেফতার করে।
দুজন মেয়ে শিবমূর্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে। একটি এনজিওর কাছে তারা এই বিষয়ে সাহায্য চাইলে মাইসোরের সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে আসে এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। গত শনিবার মাইসোরে পকসো সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সব মিলিয়ে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআরে অভিযোগ আনা হয়, পরে সেই মামলা চিত্রদূর্গতে ট্রান্সফার হয়ে যায়। এখানেই শিবমূর্তি নামের ওই সন্ত লিঙ্গায়েত মঠের প্রধান।
ইতিমধ্যে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে দুই নির্যাতিতা মেয়ে। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ চিত্রদুর্গ জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সুপারের অবিলম্বে সাসপেনশনের দাবি জানান। কারণ তারা শিবমূর্তির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ । এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি লিখবেন বলে জানান। বিজেপি নেতা বিশ্বনাথের অভিযোগ ছিল, এমন একটি জঘন্য বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা, বিরোধী দল, বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী অথবা মনোবিদ মুখ খোলেননি। নেতারাও ভোট হারানোর ভয়ে সকলে চুপ করে রয়েছেন। অথচ কেউ ওই দুটি নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে একবারও ভাবেননি। তাদের বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথাও তাদের মনে আসেনি। ভোট বাক্সে এর প্রভাব পড়বে, এটা ভেবে সকলে ধর্ষণে অভিযোগ থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছেন বলে বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ অভিযোগ করেন।