কুণাল ঘোষের করা মানহানির মামলায় চাপ বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর আর্জি। আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে ১৯ নম্বর মেট্রোপলিটন কোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁকে ত্যাজ্য পুত্র বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই কুণাল ঘোষ মান হানির মামলা করেন।
দলবদলের সময় থেকেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে আড়াআড়ি সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই প্রকাশ্যে এতে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র নিশানা করেছেন কুণাল। তিনি একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে কুণাল ঘোষ তাঁতে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। এই নিেয় বিতর্কের মাঝেই কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁকে ত্যাজ্য পুত্র বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই টিএমসির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
সেই মামলার শুনািনতে শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবী মারফৎ আবেদন করেছিলেন যে, তাঁর বাড়ি কাঁথিতে। ওখান থেকে কলকাতার এই আদালতে এসে ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর পরিবর্তে হাজির থাকবেন
তাঁর আইনজীবীরা।' তার পাল্টা দাবিকে কুণাল ঘোষের আইনজীবী দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। তাঁর অফিস বিধানসভায়। আর সেখান থেকে আদালতের দূরত্ব সামান্যই। তাই কাঁথিতে থাকার দবি খুব একটা যুক্তিগ্রাহ্য বিষয় নয়। শেষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের এই নির্দেশে একটু চাপ বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সারদা কাণ্ডে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়ে সরব হয়েছিল শাসক দল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই শুভেন্দু
অধিকারীকে সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত সেন যখন নিজে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রমাণ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছে। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না তা নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা।