মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল নবান্নে।
আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এই বৈঠক হয়। যেখানে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়। আর এর মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোকর বক্তব্যের বিষয়টি ওঠে। আর সেই বৈঠকেই একেবারে কড়া ভাষায় রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, তোমাকে বিধায়কের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একেবারে ফোন করে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও শ্রীকান্তকে নির্দেশ মমতার। শুধু তাই নয়, এমন ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে যে জুন আমায় ফোন করে বলে যে, হ্যাঁ, তুমি ক্ষমা চেয়েছ।
ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন! কি আর করার উপায়। নির্দেশ শিরধার্য বলে নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিয়েছেন শ্রীকান্ত। এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে নিরাপত্তা কমানো হয়েছে। পাইলট কার পেলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, বাড়ির নিরাপত্তাতেও বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা থাকলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। যদিও এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। তবে তাঁর মন্তব্যের জন্যে অনুতপ্ত তিনি। শ্রীকান্ত জানিয়েছে, এমন মন্তব্য করা উচিৎ হয়নি। ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বলে রাখা প্রয়োজন, মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। তিনি বলেছিলেন, 'মিমি-নুসরত-জুন মালিয়াদের মত তারকা সাংসদরা লুটে পুটে খাচ্ছে দলকে। সুব্রত বক্সি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের জানিেয়ও কোনও লাভ হয়নি।' সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল শ্রীকান্ত মাহাতর এহেন বক্তব্যের ভিডিও। তারপরেই দলের শীর্ষ নেতারা নড়েচড়ে বসেন। এমনকি বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। এরপরেই তৃণমূল থেকে শোজকজ করা হয় মন্ত্রীকে। কিন্তু বিষয়টি শোকজের মধ্যে আটকে থাকল না তা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।