কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ
অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর মোট ১৬২টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে। বীরভূমের বোলপুর, মল্লারপুর, মহম্মদবাজার, ইলামবাজার এলাকায় এই বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রতই যে এই বিপুল সম্পত্তির নেপথ্যের নায়ক তা আর বুঝতে বাকি নেই। গরুপাচারের টাকা থেকেই এই বিপুল সম্পত্তি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
কার কত সম্পত্তি
সিবিআই যে ১৬২টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তার মধ্য একা কেষ্টর নামে রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। এছাড়া কেষ্টর স্ত্রী এবং মেয়ের নামে রয়েছে ২৬টি সম্পত্তি। দেহরক্ষী সায়লের নামে রয়েছে ৪৭টি সম্পত্তি। সবকটিতেই নাম রয়েছে কেষ্টর। আগেই সেই তথ্য হাতে পেয়েছিল সিবিআই। সেই সূত্র ধরে সন্ধান চালাতেই কেষ্টর আত্মীয়দের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পায় সিবিআই। কেষ্টর ভগ্নিপতি কমলকান্তি ঘোষের নামে রয়েছে ১৮ টি সম্পত্তি। কয়েকদিন আগেই বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানেই তল্লাশি চালাতে গিয়ে কমলকান্তি ঘোষের নাম প্রকাশ্যে আসে। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন তিনি জানেন না তাঁর নামে এই বিপুল সম্পত্তি রয়েছ।
আটক টিএমসি কাউন্সিলর
বুধবার সকাল থেকে বোলপুরে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। আটক করা হয়েছে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিএমসি কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ক। তাঁকে জেরা করে কেষ্টরএকাধিক সম্পত্তির হদিশ জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এছাড়া কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী সুজিত দে-র বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী সুজিত দের সঙ্গে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই।
কেষ্টর সিএ-র বাড়িতে তল্লাশি
অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হিসেব জানতে তাঁর সিএ মণীশ তিওয়ারির বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলছে তল্লাশি। তাঁকে অনেক্ষণ ধরে জেরা করা হচ্ছে। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেেছ কেন্দ্রীয় বাহিনী। অনুব্রতর হিসেব রক্ষক ছিলেন মণীশ তিওয়ারি। তাঁর কাছে কেষ্টর একাধিক তথ্য হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর মণীশের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। অনুব্রত কালো টাকার হিসেব রাখত এই মণীশ তিওয়ারি এমনই দাবি করেছে পুলিশ।