বুধবার ৩১ অগাস্ট সারা দেশজুড়ে পালন করা হবে গণেশ চতুর্থী উৎসব। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সোমবার রাতে গুজরাতের ভদোদরায় গণেশজির শোভাযাত্রা ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ডের সৃষ্টি হল। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে এক ভদোদরার এক স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে দিয়ে যখন গণেশের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা যাচ্ছিল সেই সময় দুই সম্প্রদায়ের সদস্যের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয় এবং পরে একে-অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে এলাকায় ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং গণেশ মূর্তি শান্তিপূর্ণভাবে প্যান্ডেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ভদোদরা পুলিশ সাম্প্রদায়িক হিংসা ও অবৈধভাবে জমায়েত হওয়ার অভিযোগে দুই পক্ষের সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার গভীর রাতে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ৩৩৬, ২৯৫ সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই সম্প্রদায়ের সদস্যরা একে-অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ছিল। সোমবার রাত ১১টা ১৫ নাগাদ সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর এলাকা মাণ্ডভি লোকালিটির পানিগেট দরওয়াজার মধ্যে দিয়ে গণেশ মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা যাওয়া সময় কিছু বিষয় নিয়ে বচসার সৃষ্টি হয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। দুই সম্প্রদায়ের সদস্যরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তা হাতাহাতি এবং পাথর ছোঁড়ায় গিয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে ওই এলাকায় অবস্থিত মসজিদের প্রধান দরজার কাঁচ ভেঙে যায়। ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে টহলদারি চলছে। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার চিরাগ কোরাডিয়া সংবাদমাধ্যমদের জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ এবং এই ঘটনার তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ জনগণকে অনুরোধ করেছে যে কোনও ধরনের গুজবে কান দেবেন না।