বিজেপি নেত্রী তথা টিকটক তারকা সোনালি ফোগাটের মৃত্যুর পর একের এক নতুন তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সোনালি ফোগাটকে জোর করে মাদক দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার টিকটক তারকার দেহরক্ষীর তথ্যে নতুন করে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি জানিয়েছেন, সোনালি ফোগাটকে কখনও মাদক নিতে দেখেননি। এছাড়াও বিজেপি নেত্রীর ফার্ম হাউস থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও ল্যাপটপ নিয়ে এক কর্মী গায়েব হয়ে গিয়েছেন বলেও দেহরক্ষী অভিযোগ করেছেন।
হরিয়ানা সরকার সোনালি ফোগাটের দেহরক্ষী মনদীপকে নিযুক্ত করেছিল। মনদীপ জানিয়েছেন, সোনালিকে কখনও তিনি মাদক সেবন করতে বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখেননি। তিনি বলেন, টিকটক তারকার মৃত্যুর দুই দিন আগে প্রধান অভিযুক্ত সুধীর সাংওয়ান ও সুখবিন্দর একই গাড়িতে ছিলেন। সেই গাড়িতে মনদীপ ছিলেন। যাত্রা পথে দুই অভিযুক্ত পরস্পরের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। তাতে তাঁর মনে হয়েছে, দুজনের মধ্যে কোনও বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে। তবে তাঁর বয়ান এখনও পর্যন্ত গোয়া পুলিশ বা হরিয়ানা পুলিশ গ্রহণ করেনি। মনদীপ জানিয়েছেন, সোনালি ফোগাটের দেহরক্ষী হিসেবে তিনি পাঁচ বছর কাজ করেন। কিন্তু প্রথম দিকে গুরুগ্রামের ফ্ল্যাটে তাঁকে যেতে বিজেপি নেত্রী নিষেধ করেছিলেন।
মনদীপ জানিয়েছেন, সোনালি ফোগাট মৃত্যুর দুইদিন আগে একজন কম্পিউটার অপারেটরকে নিযুক্ত করেছিলেন। মূলত তাঁর ফার্মহাউসের কাজের জন্য ওই কম্পিউটার অপারেটরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ফোগাটের মৃত্যুর দিন শিবম নামের ওই অপারেটর তাঁর ল্যাপটপ ও ফার্মহাউসের সিসিটিভি ফুটেজের রেকর্ডিং নিয়ে গায়েব হয়ে যান। ফোগাটের পরিবার দাবি করছেন, ওই ল্যাপটপে তাঁর সম্পত্তি বিষয়ক তথ্য ও অন্যান্য তথ্য থাকতে পারে। হরিয়ানা পুলিশ শিবকে খুঁজছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার উত্তর গোয়ার একটি হাসপাতালে সোনালি ফোগাটকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সেই সময় প্রাথমিকভাবে জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সোনালি ফোগাটের ভাই রিঙ্কু তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাংওয়ান ও সুখবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেনন। রিঙ্কু দাবি করেন, এই দুজনেই পরিকল্পনা করে তাঁর দিদিকে খুন করেছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সুধীর তাঁর দিদিকে মাদক খাওয়াতেন। গোয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক ওমভির সিং বিষ্ণোই জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাংওয়ান ও সিং ফোগাটের তরলে আপত্তিকর রাসায়নিক মেশানোর কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি ফোগাটকে সেই পানীয় খেতে তাঁরা বাধ্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।