কংগ্রেসের ‘জি-২৩’ কখনই ছিল না, সভাপতির নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা

সম্প্রতি কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে। জি ২৩-র অন্যতম প্রবক্তা গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেস ছেড়েছেন। তিনি কংগ্রেস ছেড়েই ক্ষান্ত হননি, প্রায় ৫০ জন বর্ষীয়ান নেতাকে ভাঙিয়ে নিয়েছেন দল থেকে। আর এইসব ঘটনাপ্রবাহ ঘটেছে ঠিক কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রাক্কালেই। এমন পরিস্থিতি কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদেরই একাংশ সাফ জানালেন আমাদের দলে কখনই জি-২৩ ছিল না।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তারিক আনোয়ার, শশী থারুর-সহ কেরালার কংগ্রেসের নেতাদের উপস্থিতিতেই আর এক বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, কংগ্রেসের কোনওদিন জি-২৩ ছিল না। এসব মিডিয়ার সৃষ্টি। কংগ্রেসের কোনও গ্রুপিং ছিল না, মিডিয়াই এই পৌরাণিক কাহিনিকে টেনে এনেছে। গুলাম নবি আজাদের কংগ্রেস ত্যাগের পর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জয়রাম রমেশ বলেন, কোথায় জি-২৩। দেখাতে পারবেন। আসলে এসবই ছিল কল্পনা। তাই অযথা এ প্রসঙ্গের অবতারণা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে দলের আসন্ন মেগা সাংগঠনিক কর্মসূচি ভারত জোড়ো যাত্রায় আমরা শামিল হয়েছি। কংগ্রেসের সবাই শামিল হচ্ছেন এই কর্মসূচিতে। কোনও ভিন্নমত নেই। কোনও ভিন্ন গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই কংগ্রেস।

কংগ্রেসের তরফে এখানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কোনও জি-২৩ নেই। শুধু রয়েছে জি-কংগ্রেস অর্থাৎ গান্ধীবাদী কংগ্রেস। দিগ্বিজয় সিং আবার নিছক মতপার্থক্যের জন্য কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া নেতাদের কটাক্ষ করেছেন। তিনে বলেছেন, তাঁরা আদর্শহত সমস্যার কারণে নয়, নিছক ব্যক্তিগত কারণে দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তিনি এদিন গুলাম নবি আজাদের দলত্যাগ নিয়ে মুখ খুলে জানান, তিনি কি আরএসঅএস বা বিজেপি বা মিস্টার মোদী বা বিজেপি সরকারের কাজকর্ম নিয়ে কোনও বিবৃতি দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন, জি-২৩ গ্রুপের কোনও নেতা কি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? সম্প্রতি শশী থারুরের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও শশী থারুর সেটিকে নিছক জল্পনা বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। উল্লেখ্য শশী থারুরও ২০২০ সালে দলে সংস্কারের জাবিতে জি-২৩ গোষ্ঠীর লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এখন তিনি যদি সভাপতি নির্বাচনে লড়েন, তা অন্য মাত্রা পাবে।

তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর বলেন, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পরই তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে বলতে পারবেন- তিনি সভাপতি নির্বাচনে লড়বেন কি না। রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৭ অক্টোবর দলের পূর্ণ সময়ের সভাপতি নির্বাচন করা হবে। নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ২২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন জমা শুরু ২৪ সেপ্টেম্বর, তা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

More CONGRESS News  

Read more about:
English summary
Congress claims there is no G-23 only G-Congress before party’s presidential Election.
Story first published: Tuesday, August 30, 2022, 21:55 [IST]