শিক্ষায় একের পর এক দুর্নীতি। ইতিমধ্যে পুরো নিয়োগ দুর্নীতির করছে সিবিআই। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা মনে করছে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে। প্রায় কয়েকশ কোটির তদন্ত হয়েছে বলেও দাবি। আর এর মধ্যেই আরও চাপ বাড়ল।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজ্যে কাদের শিক্ষক পদে কাদের নিয়োগ এই সংক্রান্ত তথ্য তলব। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে কাদের নিয়োগ করা হয়েছে এই সংক্রান্ত তথ্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ইডির পক্ষ থেকে প্রাইমারী বোর্ডের কাছে এই বিষয় সংক্রান্ত সব নথি চাওয়া হয়েছে বলে খবর।
আর এরপরেই রাজনৈতিকমহলে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই সংক্রান্ত নথি তলব করেছে। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যানকে ইতিমধ্যে চিঠিও পর্ষদের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। যেখানে একেবারে জরুরি ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত নথি তলব করা হয়েছে বলেই খবর।
কীভাবে এই সংক্রান্ত নথি পাঠাতে হবে সে বিষয়েও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে চাকরিপ্রার্থীর নাম, টেট রোল নম্বর, বাবার নাম, কোন ক্যাটাগরিতে চাকরি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি সমস্ত কিছু উল্লেখ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও কবে চাকরি পাওয়া গিয়েছে, কোন বছর এবং কোন স্কুল সেটিও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
এই সমস্ত তথ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট খতিয়ে দেখবে বলেই জানা যাচ্ছে। পরষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আর এই সংক্রান্ত নথি চাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের এবার সমস্ত কুকীর্তি এবার ধরা পড়বে। যদিও এই বিষয়ে একেবারেই স্পিকটি নট শাসকদল তৃণমূল। নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে করছে।
আর এই মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন মন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এখনও বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এবার ২০১১ সালের পর এখনও পর্যন্ত যত নিয়োগ হয়েছে তার যাবতীয় তথ্য চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসাবে গৌতম পালকে নিয়োগ করা হয়। দায়িত্ব নিয়েই স্বচ্ছতার বার্তা দেন তিনি।