কংগ্রেসের অভিযোগের পাল্টা জবাব
শুক্রবার দল ছাড়ার পরেই গুলাম নবী আজাদকে কংগ্রেসের তরফে আক্রমণ করা হয়। কংগ্রেস রাজ্যসভার মেয়াদ শেষের সঙ্গে সঙ্গে গুলাম নবী আজাদের দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, আজাদ ক্রমেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। সেই কারণেই তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। সোমবার এই প্রসঙ্গে গুলাম নবী আজাদ বলেন, 'মোদী একটা বাহানা। একথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে জি-২৩ চিঠির পর থেকে আমাদের সমস্যা শুরু হয়েছিল। তাঁরা কখনই চাননি, তাঁদের কাজের বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করুক, লিখুক। তাঁদের ইচ্ছামতো দল চালাবেন। বৈঠক ডাকবেন। কখনও এটা পরামর্শ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।' রাহুল গান্ধীর বিরোধিতা করে কংগ্রেসের প্রবীণ ২৩ জন নেতা চিঠি লিখেছিলেন। তাকেই জি-২৩ চিঠি বলে উল্লেখ করা হয়।
ফের রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ
গুলাম নবী আজাদ রাহুল গান্ধী সম্পর্কে বলেন, 'আমরা তাঁকে সফল নেতা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই বিষয়ে তাঁর বিশেষ কোনও আগ্রহ নেই। সোনিয়া গান্ধীর ওপর আমার শ্রদ্ধা ৩০ বছর আগে যেমন ছিল এখনও তেমন রয়েছে। রাজীব- সোনিয়া গান্ধীর ছেলে হিসেবে বা গান্ধী পরিবারের সদস্য হিসেবে রাহুল গান্ধীর প্রতিও আমার শ্রদ্ধা ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমরা তাঁরে সফল নেতা তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে তাঁর বিশেষ কোনও আগ্রহ নেই।'
বিজেপির সঙ্গে জোট!
শুক্রবার কংগ্রেস ছাড়ার পরেই গুলাম নবী আজাদ নতুন দল তৈরির ঘোষণা করেছেন। বিজেপির সঙ্গে গুলাম নবী আজাদের একটি সদ্ভাব রয়েছে। তাঁর নতুন দল কি বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চলেছেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বিষয়ে সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির এলাকায় তিনি একটা ভোটও বেশি পাবেন না। পাশাপাশি তাঁর এলাকায় তাঁর দল একটা ভোটও কম পাবে না।
পদত্যাগ পত্রে আজাদের অভিযোগ
কংগ্রেস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলাম নবী আজাদ সোনিয়া গান্ধীকে পাঁচ পৃষ্ঠার চিঠিতে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধী কংগ্রেসে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে দলের অবনতি হতে শুরু করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার আগে কংগ্রেসে প্রবীণ নেতাদের পরামর্শ নেওয়া হতো না। তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেন, দলের প্রবীণ নেতাদের সরিয়ে দিয়ে তরুণ নেতাদের সামনের সারিতে আনা হয়। মূলত দালালি করেই এই তরুণ নেতারা কংগ্রেসের সামনের সারিতে চলে আসেন। সেই তরুণ কংগ্রেস নেতাদের যোগ্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।