বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গোয়া পুলিশের তদন্তে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, সোনালী ফোগতের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে অভিযুক্তরা উত্তর গোয়ার একটি রেস্তোরাঁয় জোর করে তাঁকে 'মেথামফেটামিন' নামে এক মাদকও সেবন করিয়েছিল।
ডিএসপি জিভা দলভি জানান, অঞ্জুনার কার্লিস রেস্তোরাঁ থেকে সোনালী দেওয়া হয়েছিল যে মাদক, তার অবশিষ্ট উদ্ধার করা হয় রেস্তোরাঁর শৌচালয় থেকে এবং তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ এর আগেই সোনালী ফোগতের ব্যক্তিগত সচিব সুধীর সাঙ্গওয়ান ও আর এক সহকর্মী সুখবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও কার্লিস রেস্তোরাঁর মালিক এডউইন নানস ও অভিযুক্ত মাদক পাচারকারী দত্তাপ্রসাদ গাঁওকরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিং ও সাঙ্গওয়ানকে খুনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এডউইন ও দত্তাপ্রসাদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দলভি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'যে মাদকটি সোনালী ফোগতকে দেওয়া হয়েছিল তা মেথামফেটামিন হিসাবে সনাক্ত হয়েছে।' পুলিশ জানিয়েছে, সোনালী ফোগত ও অন্যান্যরা যে হোটেলে থাকছিলেন, সেই গ্র্যান্ড লিওনি রিসর্টে রুম বয়ের কাজ করতেন দত্তাপ্রসাদ, সেই সাঙ্গওয়ান ও সিংকে মাদক এনে দিয়েছিল। এর পাশাপাশি নয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে সোনালী ফোগতকে সুধীর সাঙ্গওয়ান জোর করে কোন পদার্থ পান করাচ্ছে।
২৩ অগাস্ট সকালেই উত্তর গোয়ার অঞ্জুনার এক হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল সোনালি ফোগতকে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা বলেছিলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
তবে, তাঁর পরিবার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। তাঁরা দাবি করেছিলেন, সোনালি ফোগতের মৃত্যুর পিছনে কোনও রহস্য রয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছিলেন তাঁরা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর হস্তক্ষেপ করার পর, পুলিশ এই বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বৃহস্পতিবার তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ইঙ্গিত মিলেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তাঁর 'শরীরে একাধিক ভোঁতা আঘাতের চিহ্ন ছিল।' তবে সেগুলি তাঁর মৃত্যুর কারণ কি না, সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। শুক্রবার, পুলিশ বলেছে, তাঁর ভিসেরার পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে।