দুর্গাপুজোকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার এক বছরের মধ্যেই ভারত সরকার গুজরাতের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য গরবাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মনোনীত করেছে। যদিও ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল সেক্রেটারি টিম কার্টিস বলেছেন, এই মনোয়ন শুধু আগামী বছরের জন্য গ্রাহ্য করা হবে।
ইউনেস্কোর তরফে কার্টিস বলেছেন, আগামী বছরে বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তালিকাভুক্ত করা হবে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় মনোনয়নগুলো পরীক্ষা করা হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে কমিটি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। গুজরাতের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য গোবরার বিষয়ে ইউনেস্কো এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে কমিটির বৈঠক হবে। কমিটির সদস্যদের সর্মস্মতিক্রমে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কার্টিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত বৈচিত্রের দেশ। এখানকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির শেষ নেই। এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি আমাদের সমৃদ্ধ করে।
গত বছরের ডিসম্বরে ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত করে। ইউনেস্কোর দিল্লি অফিসের প্রধান আধিকারিক এরিক ফাল্ট বলেছেন, ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল কমিটির সদস্যরা দুর্গাপুজোকে এই তালিকাভুক্ত করতে সর্বসম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতের বিশ্বের যে কোনও দেশের থেকে অনেক অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব বা অনুষ্ঠান রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে সেগুলোর সংরক্ষনের প্রয়োজন। বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ বা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ইউনেস্কো কাজ করে। বিদেশি পর্যটকরা যাতে এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি দেখার সুযোগ না হারান, সেই দিকেও নজর দেওয়া হবে।
প্যারিসে ১৬ তম অধিবেশনে কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির তালিকাভুক্ত করার সুযোগ পেয়েছিল। দুর্গাপুজোয় প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে শহরের মানুষরা মেতে ওঠেন। এক্ষেত্রে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উৎসবে মেতে ওঠেন। প্রান্তিক মানুষরা এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি থেকে নতুন দিশা খুঁজে পান বলে ইউনেস্কো জানিয়েছে। মূলত হিন্দু বাঙালিদের এই দুর্গাপুজো হলেও বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ভাষার, ধর্মের মানুষ এই উৎসব পালন করে। বছরে দুবার দুর্গাপুজো হয়। একবার বাসন্তী উৎসব ও অন্যটি শারদীয় বা অকাল বোধন নামে পরিচিত। শরৎকালের দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পয়েছে।
নারীর ক্ষতায়নের প্রতীক হিসেবেও দুর্গাপুজোর প্রশংসা করে ইউনেস্কো। এখনও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির তালিকাভুক্ত ভারতের ১৪টি অনুষ্ঠান রয়েছে। তারমধ্যে যেমন রয়েছে রামলীলা, বৈদিক মন্ত্র। সবশেষে তালিকায় স্থান করে নিয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো।
বাংলার মানুষ মদন মিত্রের নাম মনে রাখবে! শুধুই কুশল বিনিময়, তৃণমূল নেতার মিডিয়া 'বয়কট' নিয়ে জল্পনা