আপকে ভয় পেয়েছে বিজেপি
গুজরাতকে বিজেপির দুর্গ হিসেবে মনে করা হয়। চলতি বছরের শেষের দিকে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। আপ সুপ্রিমো বলেন, গুজরাতে বিজেপির দুর্গ বর্তমানে হুমকির মুখে। যে কোনও মুহূর্তে বিজেপির সেই দুর্গ ভেঙে পড়তে পারে। গুজরাতের নির্বাচনে আপ অংশ নিচ্ছে। সেই কারণেই দিল্লিতে আপ মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, সিবিআই প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটা পয়সাও সেখানে সিবিআই খুঁজে পায়নি।
জনগণের টাকায় বিজেপি বিধায়ক কেনে
দিল্লির বিধানসভায় একটি বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, বিজেপি এখনও পর্যন্ত দেশের একাধিক রাজ্যে বেশ কয়েকটি সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে, গোয়া, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, অসম, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, অরুণাচলপ্রদেশ, মনিপুর ও মেঘালয়। শহরে একজন সিরিয়াল কিলার রয়েছেন, যে একের পর এক খুন করে চলেছেন। জনগণ একটি সরকারকে বেছে নেয়। বিজেপি সেই সরকারের পতন ঘটায়। কেজরিওয়াল বলেন, বিজেপি এখনও পর্যন্ত ২৭৭ জন বিধায়ককে কিনেছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার জিএসটি ও পেট্রোপণ্যে মূল্য বাড়িয়েই চলেছে। সেই অর্থ তারা বিধায়ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে।
বিধায়ক কেনা-বেচা মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, 'আমরা হিসেব করে দেখেছি বিজেপি তাদের দলে ২৭৭ জন বিধায়ককে নিয়ে এসেছে। প্রতি বিধায়ককে যদি তারা ২০ কোটি টাকা দেয়, সেক্ষেত্রে বিধায়ক কিনতে বিজেপির মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫,৫০০ কোটি। সেই কারণেই দেশে মুদ্রাস্ফীতি। কারণ বিজেপি সাধারণ মানুষের টাকা বিধায়ক কেনার জন্য ব্যয় করছে।' পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, দেশের পেট্রোপণ্যের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে জিএসটি। একাধিক খাদ্যদ্রব্যকে নতুন করে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থে বিজেপি বিধায়ক কেনে। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারের পতনের চেষ্টা করে।